পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
প্রভাবশালী ও সরকারি দলের নেতারা অনিবন্ধিত ওষুধ আমদানি ও বাজারজাত করে থাকে। তারা বেশরভাগ সময় এসব ওষুধ আনে আকাশ পথে। কিন্তু বিমানবন্দরে কখনোই এগুলো ধরা হয় না, এদের আটকানোর কোন ব্যবস্থা নেই। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীস্থ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি সাদেকুর রহমান।
তিনি বলেন, অনিবন্ধিত ওষুধ, ভুয়া ওষুধ ডাক্তাররাই রোগীর ব্যবস্থাপত্রে লিখে থাকেন। এ রকম প্রায় ১৫ হাজার ব্যবস্থাপত্র আমাদের হাতে আছে। দেশের সব সরকারি হাসপাতালের ওষুধ মিটফোর্ডে আসে। মিটফোর্ডের ১৬’শ দোকানদার এসব কিনে আবার বিক্রি করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এটা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয় না। তিনি বলেন, আমাদের কাছে ওষুধ কোম্পানির স্যম্পল দেখলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে জরিমানা করা হয়। কিন্তু কোম্পানিগুলোকে স্যাম্পল দেয়া বন্ধ করতে বলা হয় না। বিক্রেতাদের জন্য ওষুধের কমিশন বাড়ানোর আহবান জানিয়ে সাদেকুর বলেন, কিছু ওষুধ কোম্পানি আছে যারা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেরত নেয় না। অথচ দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার কোন নিয়ম নেই। এ কারনে মিটফোর্ডে ওরিয়ান ফার্মকে বয়কট করা হয়েছে। তিনি ওষুধের বাজার নকল ভোজালমুক্ত করতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এসব সমস্যা সমাধানের আহবান জানান।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের সহসভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন, ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব মো. শফিউজ্জামান, অধিদপ্তরের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, নায়ার সুলতানা প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ওষুধ বিক্রি করতে হলে অবশ্যই লাইসেন্স নিতে হবে। অন্যথায় ওষুধ বিক্রি করা যাবে না। তিনি বলেন, কোন ওষুধের গায়ে যদি এমআরপি এবং এক্সপেয়ারি ডেট না থাকে তাহলে বুঝতে ওষুধটি ভুয়া। ওই ওষুধ ক্রয় বিক্রয় না করতে সকলকে আহবান জানান তিনি।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।