পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃষকের কাছ থেকে ধান হাতছাড়া হবার পরে সরকার ধান কিনতে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দলে যোগ দিয়েই সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রথম সিলেট আসেন হবিগঞ্জের বাসিন্দা রেজা কিবরিয়া। গত সোমবার সিলেট জেলা ও মহানগরের ইফতার মাহফিলে তিনি যোগদান করেন। গতকাল তিনি সিলেটে দুটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে বড় একটি পরিবর্তন দরকার। দেশ একটি গোষ্ঠির কাছে চলে গেছে। এটা কোন গণতন্ত্র নয়। ভূমধ্যসাগরে যেভাবে মানুষ গিয়ে মরেছে, দেশের ষোল কোটি মানুষের এখন সেই অবস্থা। সবাই যেনো বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মরলেই বাঁচে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। ডক্টরেট মানুষরা এখন রাজনীতিতে আসতে চায় না। আগেরকার সময়ে দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক যে প্রতিযোগিতা ছিলো, এখন তা নেই। আগে বিভিন্ন দলের লোক একসাথে বসে কথা বলতে পারতো। এখন সেই সংস্কৃতি নেই। এখন একে অন্যের শত্রু। রাজনৈতিক অবকাঠামো দেশে নেই। এর পরিবর্তন দরকার।
বিগত সংসদ নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, তাদের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই তারা রাতের আধারে বাক্স ভরে রেখেছে। ভোটারদের ধোকা দিয়েছে। বরং ২০১৪ সালই ভালো ছিলো। তারা বলতে পেরেছে কেউ নির্বাচনে আসেনি, আমরা কী করবো। কিন্তু এবার বড় বদনাম করেছে দলটি। তাদের কর্মীদেরই মন ভেঙে গেছে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক ধারা থেকে অনেক দূর সরে গেছে। দলের কিছু সিনিয়র নেতার হাতে এখন ক্ষমতা। তারাই দেশ চালাচ্ছে।
বিগত নির্বাচনী জনসভায় সিলেট আলিয়া মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে নিয়ে কিছু কথা বলেছেন জানিয়ে বলেন, তিনি লজ্জিত বলে জানিয়েছেন। আমিও মনে করি গত ১০ বছরে উনারা ক্ষমতায় থাকার পরেও আমার বাবার হত্যার বিচার করতে পারেননি। তাই লজ্জা হওয়ারই কথা। তিনটি চার্জশিট তিনভাবে দেওয়া হয়েছে। মজিদ খান এমপি আমার মাকে একটি চার্জশিট মেনে নিতে ধমকিয়েছেন। আসল মদদদাতা কে এবং গ্রেনেডের উৎস কি? এ দুটি প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত আমার বাবার বিচার নিয়ে কারো সাথে আমি কোন আপোষ করবো না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ধারণা ৫০/৬০ ভাগ ধান কৃষকের হাত থেকে চলে গেছে। আরো দুই সপ্তাহ পরে ৯৯ ভাগ ধান কৃষকের হাত থেকে চলে গেছে। নিজেদের লোকের হাতে ধান চলে গেলে সরকার ৫০০ টাকার বদলে ১০০০ টাকা দিয়ে ধান কিনবে। তখন আমরা সবাই খুশি। চিন্তা করিনা কে লাভবান হলো। কৃষক না মধ্যসত্ত্বভোগী।
এ সময় গণফোরাম সিলেট মহানগর সভাপতি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনসার খানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।