পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেথ হাসিনা ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। জনগণ আপনাদেরকে যে বিশ্বাস এবং আস্থা নিয়ে নির্বাচিত করেছেন তাদের সে বিশ্বাস ও আস্থার মর্যাদা দিতে হবে। কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার ভোটে জিতে যাচ্ছেন, এবারই শেষ না। জনগণের হৃদয় জয় করতে হবে, যেন জনগণ ভবিষ্যতেও আপনাদের প্রতি আস্থা-বিশ্বাস রাখে। সেদিকে আপনারা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন সেটাই আমরা চাই।
নতুন মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে সরকারপ্রধান বলেন, আপনাদের ওপর বিরাট দায়িত্ব। এটা মনে রাখতে হবে যে জনপ্রতিনিধি হওয়া মানে জনগণের জন্য শুধু যারা আপনাকে ভোট দিয়ে শুধু তারা না, আপনি যখন জনপ্রতিনিধি তখন আপনি এলাকার সব মানুষেরই প্রতিনিধি।
নিজের উদাহরণ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। আমি আওয়ামী লীগ করি। কিন্তু আমি যখন প্রধানমন্ত্রী তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দলমত নির্বিশেষে সকলের কল্যাণ করাই আমার দায়িত্ব। আপনারাও নিজেকে সেভাবে মনে করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছি। এদেশের মানুষ যেন ভালো থাকে, শান্তিতে থাকে সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাদেরও দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে এদেশকে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার। কাজের মাধ্যমে আপনারা সরকারের সুনাম বৃদ্ধি করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। এগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কাজ করবেন। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না। দুর্নীতি করলে কেউ ছাড় পাবে না।
এবার পাঁচ লাখ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাজেটে বিপুল পরিমাণ যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। সেটা জনগণেরই অর্থ। সেটা যেন জনগণের কাছে পৌঁছায়। পাশাপাশি নগরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং দেশটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নানা উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় উন্নয়নের কাজটা যেন যথাযথভাবে হয় এবং সে কাজের মধ্য দিয়ে মানুষ যেন খুশি হয় সেদিকেই আপনাদের কিন্তু দৃষ্টি দিতে হবে। আমাদের লক্ষ্য একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে। প্রতিটি মানুষ উন্নতমানের চিকিৎসা পাবে।
সারাদেশের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো এবং কর্মসংস্থান ও পরিকল্পিতভাবে শিল্প উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান তিনি। পরিকল্পিতভাবে শিল্প গড়ে কৃষিজমি রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, যত্রতত্র যেখানে সেখানে যেন শিল্প গড়ে না ওঠে, আমাদের ফসলের জমি যেন নষ্ট না হয়। কারণ আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ফসলের জমি রক্ষা করতে হবে।
পাশাপাশি শিল্পায়ন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিজস্ব বাজার সৃষ্টির ওপরও জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে আমাদের একটা স্বদ্ভাব রয়েছে এবং সেখানে আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে দিচ্ছি, যাতে করে আমাদের বাজার সম্প্রসারিত হতে পারে, আঞ্চলিকভাবে যেন আমরা আরও সমৃদ্ধশালী হতে পারি।
বাংলাদেশেই চোখের ফলোআপ
লন্ডনে চোখের অপারেশনের পর রাজধানীর দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ফলোআপ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সকালে ধানমন্ডির সোবহানবাগে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হকের কাছে যান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর চোখ পরীক্ষার পর অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র ও চশমা দেন। ডা. দ্বীন মোহাম্মদ জানান, অপারেশনের পর প্রধানমন্ত্রীর চোখ এখন ভালো আছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। তাকে নতুন চশমা দিয়েছি, গ্লকোমা পরীক্ষা করেছি।
চোখ পরীক্ষা করাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের প্রশংসা করেন। হাসপাতালের আধুনিক যন্ত্রপাতির সমাহার দেখে প্রশংসা করেন এবং বলেন, বাংলাদেশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এরকম হাসপাতাল আরও গড়ে ওঠা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. এনায়েত হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী ও ডা. শেখ মোহাম্মদ হোসেন।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল চোখের সমস্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকায় টিকিট কেটে শেরে বাংলা নগরের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেদিন চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী গত ১ মে লন্ডনে ১০ দিনের সফরে গিয়ে চোখের চিকিৎসা করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।