পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রত্যাশিত বর্ষণে সিক্ত হয়েছে সারাদেশ। বৈশাখ-জৈষ্ঠ্যের টানা দেড় মাসের তীব্র গরমের অস্বস্তি আপাতত কেটে গেছে। পশ্চিমা লঘুচাপের সাথে পূবালী বায়ুর সংযোগের ফলে গতকাল শনিবারও দেশের অধিকাংশ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত, কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হয়েছে। সেই সাথে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। তবে গত কয়েকদিনের বিক্ষিপ্ত ও সাময়িক বর্ষণে মাটিতে পানি রিচার্জ হয়নি। তাছাড়া সর্বত্র নদ-নদী খাল-বিল পুকুর শুকিয়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এদিকে বজ্রমেঘের ঘনঘটার কারণে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। চারটি সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সীতাকুন্ডে ৯৩ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ৪০, চট্টগ্রামে ৭৫, রাজশাহীতে ১৫, রংপুরে ১, খুলনায় ৭, বরিশালে ৬, সিলেটে ১৫, ময়মনসিংহে ৩, টাঙ্গাইলে ৫১, মাদারীপুরে ৩৯, স›দ্বীপে ৬৯, রাঙ্গামাটিতে ৫৮, কুমিল্লায় ৩৯, চাঁদপুরে ৪৫, নোয়াখালীতে ৫৫, ফেনীতে ৮৮, কক্সবাজারে ৫৮, বগুড়ায় ৩, মংলায় ৩১, সাতক্ষীরায় ২৩, যশোরে ১৩, পটুয়াখালীতে ১৮, ভোলায় ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩২.৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন টাঙ্গাইলে ২০.২ সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৮.৭ এবং সর্বনিম্ন ২১.৪ ডিগ্রি সে.। তবে আজ রোববার থেকে ক্রমশ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সে. বৃদ্ধি পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায়ও বেড়ে যেতে পারে তাপমাত্রার পারদ। এর পরের ৫ দিনে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া সতর্কবার্তা
আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, বজ্রমেঘের ঘনঘটা বৃদ্ধির কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।