জৈষ্ঠ্যের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে ভ্যাপসা অসহ্য গরমের দাপট কমে এসেছে। স্বস্তির বৃষ্টিতে সিক্ত হয়েছে দেশের অধিকাংশ জেলা। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বর্ষণের রেকর্ড শ্রীমঙ্গলে ১২৩ মিলিমিটার। এ সময় সিলেটে ৫১, ঢাকায় ১, চট্টগ্রামে ২০, রাঙ্গামাটিতে ৬৪, কুমিল্লায় ৬, ময়মনসিংহে ৬, নেত্রকোনায় ১২, বগুড়ায় ৬, রংপুরে ৩৬, দিনাজপুরে ১৪, তেঁতুলিয়ায় ১৫ মিলিমিটার এবং অন্যান্য স্থানে বিক্ষিপ্ত হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে ওই সময় খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বৃষ্টিপাত হয়নি। বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ নেমে আসে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (যশোর)। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ২১.২ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৩.৫ এবং সর্বনিম্ন ২৮.৫ ডিগ্রি সে.।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিরাজমান রয়েছে।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এর পরের ৫ দিনে তাপমাত্রা ফের বৃদ্ধি পেতে পারে। অর্থাৎ এ সপ্তাহের শেষের দিকে আবারও তাপদাহ শুরু হতে পারে।
এদিকে গতকাল রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে। খরতাপে অতিষ্ঠ জনজীবনে প্রত্যাশিত এ বর্ষণ স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দেয়।