Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মুখরিত মজুর কেনা-বেচার হাট

শনিবারের স্বন্দেশ

মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ধানকাটা মাড়াইয়ের মজুরের কেনা-বেচার হাটগুলো জমে উঠেছে। প্রতিদিন শত শত মজুরের পদচারনায় হাটগুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। এতে ধানকাটার মুজুরের মুজুরিও স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে এসেছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার প্রধান প্রধান মুজুরের হাটগুলো হলো- উপজেলা সদর, পাকুল্যা, ধল্যা, কুর্নী, সোহাগপাড়া, গোড়াই, হাটুভাঙা, বাঁশতৈল ও বহুরিয়া। ইরি-বোরো কাটা-মাড়াইয়ের মৌসুমে এসব হাটে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুজুররা এসে থাকেন।
মির্জাপুর উপজেলায় বৈশাখের শেষ দিকে ধানকাটা শুরু হলেও পর্যাপ্ত সংখ্যায় মুজুর না আসায় মুজুরের হাটগুলোও ছিল অনেকটাই ফাঁকা। মজুরিও ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। ফলে মজুরের এই উচ্চ মূল্যের কারণে কৃষদের নাভিশ্বাস উঠার উপক্রম হয়ে ছিল।
গত সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন ট্রাক-বাস ও ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত মজুর এ উপজেলার মজুর কেনা-বেচার হাটগুলোতে ভিড় করছেন। তাদের পদচারনায় হাটগুলোও মুখরিত হয়ে উঠছে। ফলে গত সপ্তাহের প্রথম দিকে যেখানে ধান কাটা মাড়াইয়ের মজুরি কমে বর্তমানে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় নেমে এসেছে। এতে কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা ধল্যা গ্রামের কৃষক নাঈম উদ্দিন, উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম, বরদাম গ্রামের কৃষক সুবাস সরকার জানান, বর্তমানে ধানকাটা মজুরের বাজার দর স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে এসেছে। এছাড়া আবহাওয়াও অনুকুলে থাকায় কৃষকরা বর্তমানে স্বস্তিতে ধান-কাটা মাড়াইয়ের কাজ করছেন বলে তারা জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানিয়েছেন, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ৪০ শতাংশ জমির ধান কাটা-মাড়াই হয়েছে। ঈদেও আগেই অবশিষ্ট ৬০ ভাগ জমির ধান কাটার কাজ শেষ হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ