পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগ-এ বাংলাদেশ এবং চেক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে ট্রেড প্রোমশন এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং চেক প্রজাতন্ত্রের পক্ষে সে দেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী কারেল হাবলিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। গত মঙ্গলবার এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে গতকাল বুধবার জানিয়েছে বানিজ্য মন্ত্রনালয়।
এ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের মূল উদ্দেশ্য হলো জয়েন্ট কমিশন গঠন করে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ইরোপিয়ন ইউনিয়ন ভুক্ত দেশ হিসেবে চেক প্রজাতন্ত্রের সাথে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। গত বছর উভয় দেশের বাণিজ্যের পরিমান ছিল প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। উভয় দেশের বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে উভয় দেশের মন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। চেক প্রজাতন্ত্রের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের দ্রæত উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বাংলাদেশে পাওয়ার জেনারেশন, শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ, আইসিটি, পাটজাত পণ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য আকর্ষনীয়। ফরেন ডাইরেক্ট ইভেষ্টমেন্ট (এফডিআই)- এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার উদারনীতি গ্রহণ করেছে। চেক প্রজাতন্ত্রের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০০টি স্পেশাল ইকোমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে বিনিয়োগ করে চেক বিনিয়োগকারীগণ উৎপাদিত পণ্য ইউরোপিয়ন ইউনিয়নে ডিউটি ফ্রি সুবিধা নিয়ে রফতানি করতে পারবেন। বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, চেক বিনিয়োগকারীগণ এ জনশক্তিকে কাজে লাগাতে পারবেন, এছাড়া বাংলাদেশও পণ্যের একটি বড় বাজার। বাংলাদেশে তৈরী পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিটিকেলস, আইসিটি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে বিনিয়োগ করলে চেক বিনিয়োগকারীগণ লাভবান হতে পারবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আরো বলেন, বাংলাদেশ আগামী ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য উভয় দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। পরে তিনি চেক প্রজাতন্ত্রের সাবেক মন্ত্রী এবং চেম্বার এন্ড কমার্সের প্রেসিডেন্ট ভ্রাদিমির দিলোহি এর সাথে বৈঠক করেন। এ সময় উভয় দেশের বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী ¯েøাভেনিয়া সফর করেন এবং ‘ওয়াল্ড বি ডে’ প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করেন। সেখানে তিনি ¯েøাভেনিয়ার কৃষি, বন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মিস আলেকজেন্ডার পিভেক এর সাথে বৈঠক করে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে মতবিনিময় করেন। মন্ত্রী ¯েøাভেনিয়ার পোর্ট অফ কোপার পরিদর্শন করেন এবং বাংলাদেশের সাথে আমদানি ও রফতানিরত ক্ষেত্রে এ পোর্ট ব্যবহারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, এ চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে ট্রেড এন্ড ইকোনমিক বিষয়ের উপর জয়েন্ট কমিশন গঠিত হবে এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে নিয়মিত ভাবে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। যা বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালী করণ এবং বাজার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বাণিজ্যমন্ত্রী আগামী ২৩ মে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।