Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জেলেরা ৮৬ কেজি চাল পাবেন

সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা নয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

বঙ্গোপসাগরে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ও চিংড়ি জাতীয় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধের সময় চার লাখ ১৪ হাজার ৭৮৪ জেলে পরিবারকে ৮৬ কেজি করে চাল দেবে সরকার। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আরী খান খসরু সম্মেলনে এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে ২৫৫টি বাণিজ্যিক মৎস্য ট্রলার, ৩২ হাজার ৮৫৯টি যান্ত্রিক এবং ৩৪ হাজার ৮১০টি অযান্ত্রিক ফিশিং বোট নির্বিচারে মৎস্য আহরণের ফলে আমাদের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গবেষক, শিক্ষাবিদ ও স¤প্রসারণ কর্মীদের মতামত অনুযায়ী, সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ-১৯৮৩ এর অধীন প্রণীত সংযোজিত বিধি ১৯ দ্বারা ২০১৫ সাল হতে প্রতিবছর প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় বাণিজ্যিক ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযান দ্বারা মাছ, চিংড়ি ও চিংড়ি জাতীয় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় এলাকায় মাছ আহরণ ছাড়া জেলেদের আয়ের অন্য কোনো উৎস না থাকায় মাছ ধরা বন্ধের সময় জেলেদের জীবিকা নির্বাহ অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ক্ষুধা নিবারণ ও দাদনদারদের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার জন্য জেলেদের আইন অমান্য করতে বাধ্য হয়। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ও আন্তরিকতায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবারই প্রথমবার মাছ ধরা নিষিদ্ধের সময় উপকূলীয় জেলেদের ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এনে খাদ্য সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
তিনি জানান, কর্মসূচির আওতায় উপকূলীয় ১২টি জেলাধীন ৪২ উপজেলার জেলে পরিবারগুলোকে মাসে ৪০ কেজি করে ৩৬ হাজার মেট্রিকটন চাল প্রদান করা হবে। ঈদের আগেই যাতে তারা খাদ্যশষ্য পায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। মাছের তিনটি নিষিদ্ধ সময়ের জন্য আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছওে দেশে মোট ৪২ হাজার ৭৭ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন ৬ দশমিক ৫৬ লাখ মেট্রিক টন, যা দেশের মোট উৎপাদনের ১৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ এখন মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্র্ণ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার সমুদ্র অঞ্চলে মৎস্য নেই বললেই চলে। মৎস্য টিকিয়ে রাখার জন্য এই কর্মসূচি। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ও জাটকা নিষিদ্ধ করায় ইলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছ উল আলম মন্ডল, মৎস্য অধিদফতরের মহাপিচালক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ