পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের সংশ্লিষ্ট সেক্টরে দুর্নীতির কারণেই কৃষকরা ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, কৃষকের ধানের ক্ষেতে আগুন দেয়ার ঘটনা আবেগের বহিঃপ্রকাশ দাবি করার কারণ সেখানে (সংশ্লিষ্ট বিভাগে) দুর্নীতি হচ্ছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দুর্নীতি- খেলাপি ও ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য বন্ধে বাজেটে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল হোসেন।
‘আবেগের বশবর্তী হয়ে কেউ ধানে আগুন দিয়েছে’ মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে মেনন বলেন, কেউ কখনো নিজের ঘরে আগুন লাগাতে চায় না। চালের দাম বাড়ছে, অথচ মিলের মালিকরা চাল বিক্রি করতে পারেন না, তার কারণ হলো যেখানে আমাদের উদ্বৃত্ত ৩০ লাখে চলে গেছি, সেখানে আমরা ৬০ লাখ টনের মতো আমদানি করি। তিনি আরো বলেন, চাল আমদানির ক্ষেত্রে আমি আবারো দুর্নীতির জায়গায় চলে আসি। যেখানে পৃথিবীতে ৪০০ ডলার প্রতি টন, আমরা সেখানে নিয়ে এসেছি ৭০০ থেকে এক হাজার ডলার দরে প্রতি টন চাল। এই যে মধ্যের এই টাকাটা কোথায় গেল? এই টাকাটা চলে গেছে বিদেশে পাচার হয়ে। তাহলে দুর্নীতি তো গোড়ার মধ্যে রয়ে গেছে। কৃষক যারা ধানের দাম পাচ্ছেন না, তার মধ্যেও আছে দুর্নীতি নীতির ক্ষেত্রে। আর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতি আরো প্রকট। সেখানে মধ্যস্বত্বভোগী, দলীয় কর্মী, নেতারা চাল নেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী মেনন বলেন, ভারতে কৃষকের কাছ থেকে সরকার এক-তৃতীয়াংশ ধান কিনে নেয়। আর আমাদের সরকার বলে আমরা এত গোডাউন পাবো কোথায়? সরকার এত বড় বড় মেগা প্রজেক্ট করছে, তাহলে কেন প্রতিটি ইউনিয়নে সাইলো করতে পারবে না। আর্থিক খাতের দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।