পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ধানের মূল্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে কৃষক বাঁচাতে সরকারকে লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী ধান কেনার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভেজাল বিরোধী অভিযান জোরদারের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটি সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটি সদস্য খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, মো. মো. আয়েন উদ্দিন ও আতাউর রহমান খান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা দেড় লাখ টন নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এবার উৎপাদন বেশি হওয়ায় আমরা তার চেয়ে যাতে বেশি কেনার জন্য বলেছি। এক্ষেত্রে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য বলা হয়েছে। যাতে মধ্যসত্ত¡ভোগীরা ধান কোনো সুযোগ না পায়। এছাড়া ভর্তুকি দিয়ে হলেও চাল রপ্তানি করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, ধান যাতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হয় তা তদারকির জন্য ২০টি মনিটরিং টিম কাজ করবে। তারা কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করবে। তিনি আরো জানান, সরকার ১৪ শতাংশ আর্দ্রতা সম্পন্ন ধান কিনছে। যে কারণে অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে চাতাল মালিকদের কাছে কম দামে ধান বিক্রি করছে। প্যাডি সাইলো নির্মাণ করা হলে কৃষক সেখানে নিজের ধান শুকিয়ে বিক্রি করতে পারবে। সারাদেশে ২০০টি পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘প্যাডি সাইলো’ নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন করা হবে বলেও তিনি জানান।
কমিটি সূত্র জানায়, ধান ক্রয় ও চাল রপ্তানী ছাড়াও কমিটির বৈঠকে খাদ্যে ভেজাল পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে ভেজাল বিরোধী অভিযান সারা বছর অব্যাহত রাখার তাগিদ দেওয়া হয়। আর এজন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম শক্তিশালী করতে জনবল বৃদ্ধি এবং প্রতিটি জেলায় কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম স¤প্রসারণের সুপারিশ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।