পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র রমজান মাসেও দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শাহজালালে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। যাত্রীদের দীর্ঘ সময় ইমিগ্রেশনে দাঁড়িয়ে থাকা এবং লাগেজের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করা এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। পবিত্র রমজান মাসেও সেহেরির সময় বিমান বন্দরের ভিতরে খাবার তো দূরের কথা এক গ্লাস পানিও পাওয়া যায় না। অন্যান্য বিমানের যাত্রীর মতো ওমরা পালন শেষে হাজার হাজার যাত্রী দেশে ফেরে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়লেও দেখার কেউ নেই। এমন অবস্থায় সেহেরির সময় অনেকেই না খেয়েই রোজার নিয়ত করতে দেখা গেছে। এমনতি অনেক যাত্রী সউদী আরব থেকে আনা শুধু জমজমের পানি খেয়ে রোজা রেখেছেন। এ সময় দায়িত্বরত ক্লিনার ছাড়া কাউকেই পাওয়া যায়নি।
এই প্রতিবেদক গত শনিবার রাতে ওমরা পালন শেষে দেশে ফেরার পর দীর্ঘ তিন ঘন্টার অধিক সময় অপেক্ষা করে বিমানবন্দরের ভিতরে যাত্রীদের দুর্ভোগ ও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা প্রত্যক্ষ করেছেন। এ সময় ক্ষোভ ও দুঃখের সাথে সাধারণ যাত্রীরা বলেন, যেখানে সরকার রমজান মাসে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সেখানে দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা, অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা মেনে নেয়া কঠিন। সেহেরীর সময়ও ইমিগ্রেশনের লাইনে শত শত বিমানযাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। লাগেজের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।
শাহরিয়ার সোহেল নামে একজন যাত্রী এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা সউদী বিমানের ৮০২ ফ্লাইটে রাত ২টার দিকে হযরত শাহজালাল (রাঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আসি। এক ঘন্টা সময় পর ইমিগ্রেশন শেষ হয়। ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ লাইন আর কর্মকর্তাদের সময় ক্ষেপন খুবই বিরক্তির। এরপর শুরু লাগেজ সংগ্রহ করা। সংশ্লিষ্ট রেল্টে গিয়ে এক ঘন্টা অপেক্ষার পরও লাগেজের কোন খবর নেই। যখন সেহেরি খাওয়ার সময় হল তখন যাত্রীদের (আমিসহ শত শত) লাগেজ নেই। খবর নিয়ে জানা যায়, যারা লাগেজ বেল্টে দেবেন তারা সেহেরি খাচ্ছেন। বিমান বন্দরের ভেতরে যাত্রীদের খাবারের জন্য অনেক চেষ্টা করেও কোন খাবার সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি সেহেরির জন্য এক গ্লাস পানিও পাওয়া যায়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের কাছে গিয়েও কোন সাহায্য পাওয়া যায়নি সেহেরির খাবারের জন্য। এমনকি ইমিগ্রেশনের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় শত শত যাত্রী শুধু পানি পান করে (নানাভাবে সংগ্রহ করে) রোজা রাখতে বাধ্য হয়েছেন। এসময় অনেক ওমরা ফেতর যাত্রী সঙ্গে আনা জমজমের পানি খেয়ে রোজা রাখতে দেখা গেছে।
হামিদুর রহমান নামে অপর একজন যাত্রী বলেন, আমার অনেক দেশ ভ্রমনের সৌভাগ্য হয়েছে। শাহজালাল (রাঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানী বা যাত্রীদের অবহেলার কথা নাই বললাম। পবিত্র রমজান মাসে সেহেরীর সময় চরম অব্যবস্থাপনা পৃথিবীর কোথাও আছে বলে বিশ্বাস করা কঠিন। বিমানবন্দরের ভেতরে খাবার কিছুটা বেশি দামে ক্রয় করা হয়। কিন্তু খাবার না পাওয়ার বিষয়টি বড়ই কঠিন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শিউলী হোসেন নামে অপর একজন যাত্রী বলেন, সেহেরীর সময় খাবার ও পানি না পাওয়ার পর আর এক বিরম্ভনা হলো গাড়ির জন্য অপেক্ষা করা। দীর্ঘ ২ ঘন্টা পর নিদিষ্ট জায়গায় এসে গাড়ির জন্য আরো এক ঘন্টার অধিক অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখানে যে যার মতো গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে মালামাল তুলছেন। এতে করে অপেক্ষমান অন্যান্য গাড়ি লাইনে থাকতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময়। কতব্যরত এপিবিএনসহ পুলিশ সদস্যরা দাড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কোন কাজ করছেন না। বিমানবন্দরের প্রতিটি পয়েণ্টেই যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে। এসব দেখার কেউ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।