পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মন্ত্রী, এমপি ও সচিবরা নিজে বাড়ি না গেলে তাদের সুপারিশে ট্রেনের কোনো ‘ভিআইপি’ টিকিট দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তারা নিজেরা ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে রওনা হলেই কেবল ৫ শতাংশ কোটা পাবেন। আর রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ৫ শতাংশ টিকিট। বাকি সব টিকিট এবার সাধারণ যাত্রীদের জন্য ছেড়ে দেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
এর আগে, মন্ত্রী, এমপি, সচিবদের সুপারিশে ঈদের সময় বিপুল পরিমাণে ‘ভিআইপি টিকিট’ বিক্রি হতো। তাতে করে ঈদযাত্রায় রেলের টিকিট পেতে সাধারণ মানুষদের আরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হতো বলে অভিযোগ ছিল। ঈদযাত্রার জন্য সাধারণ মানুষ যেন আরও বেশি টিকিট পান, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
রেলওয়ে মহাপরিচালক রফিকুল আলম বলেন, এবার ট্রেনের ঈদ টিকিটে মাত্র দু’টি কোটা থাকবে। একটি রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এবং আরেকটি ভিআইপি। দু’টি মিলিয়ে ১০ ভাগ কোটা থাকবে। বাকি সব টিকিট উন্মুক্ত থাকবে সাধারণ যাত্রীদের জন্য।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, আগে মন্ত্রী, এমপি, সচিব, অতিরিক্ত সচিবরা ডিও লেটার পাঠিয়ে বহু টিকিট চেয়ে বসতেন। এবার এরকম কোনো ডিও লেটার গ্রহণ করা হবে না। যারা প্রকৃত ভিআইপি এবং নিজে ট্রেনে ভ্রমণ করবেন, তাদেরই কেবল ভিআইপি হিসেবে বিবেচনা করে টিকিট দেওয়া হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে ভিআইপি কোটা বিলুপ্তই করতে চেয়েছিলেন নতুন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তবে শেষমেশ তিনি মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছন, যেখানে বলা হয়েছে- কেবল মন্ত্রী, সচিব, এমপি ও বিচারপতিরা নিজেরা যদি ট্রেনে ঈদ করতে যান, তাহলেই তারা টিকিট পাবেন। তাদের ডিও লেটার বা সুপারিশে কোনো টিকিট ইস্যু করা হবে না। মন্ত্রণালয় সেই নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।