পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধানের দাম না পেয়ে হতাশ কৃষকরা। বাম্পার ফলনেও হাসি নেই তাদের মুখে। সারাদেশের হাটবাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে থেকে ৬০০ টাকা দরে। বিঘা প্রতি লোকসান গুণতে হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পবিত্র রমজান মাসে গ্রামের হাটবাজারগুলোতে গরুর গোশত ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে অঞ্চল ভেদে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। ফলে এক মন ধান বিক্রি করে কৃষকদের এক কেজি গরুর গোশত কিনতে হচ্ছে।
রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ কয়েকটি জেলার খোঁজ নিয়ে এই চিত্র পাওয়া গেছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, রমজানে ইচ্ছা করলেও কোনো কৃষকের পক্ষে গরুর এক কেজি গোশত বা খাসির এক পোয়া গোশত ক্রয় করা সম্ভব নয়।
জানা যায়, অনুকূল আবহাওয়ায় এবার ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। প্রতি বিঘা জমিতে ১৮ থেকে ২০ মণ ধান পেয়েছেন বৃহত্তর রংপুর, বগুড়া ও দিনাজপুরসহ আশপাশের উপজেলার কৃষকরা। কিন্তু ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় হতাশ তারা।
রংপুর শহরে প্রতিকেজি গরুর গোশত ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই জেলার পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর, পাওটানাহাটে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা কেজি দরে। কাউনিয়ার মধুপুর হাটে ধানের মন ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা। গরুর গোশতও বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা।
রংপুরের সাতমাথার কৃষক একাব্বর হোসেন জানান, তিন দিন আগে বাসায় মেয়ে জামাতা আসায় গরুর গোশত ক্রয় করতে হয়েছে। বাধ্য হয়েই ৫০০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি গরুর গোশত ক্রয় করেছেন। এ জন্য তাকে বিক্রি করতে হয়েছে ২ মন নতুন ধান। একই এলাকার মোর্শেদ বলেন, মাহিগঞ্জ বাজারে গিয়ে ৪৮০ টাকা দরে মোটা ধান বিক্রি করেছি। বাড়িতে মেহমান থাকায় গরুর গোশত কিনতে হয়েছে ৫০০ টাকা দরে। এখানে এখন ১ মণ ধান বিক্রি করলে ১ কেজি গরুর গোশত কেনা যায় না। শুনেছি সরকার ১ হাজার ৪০ টাকা করে ধান ক্রয় করবে। এই দামে ধান বিক্রি করতে পারলে আমরা লাভবান হতাম। কিন্তু সিন্ডিকেটের কাছে সরকার ধান ক্রয় করবে বলে এখন কৃষকের কাজ থেকে ধান কিনছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।