পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটের বিশিষ্টজনদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের ইফতার মাহফিলের আয়োজন ছিল গত শুক্রবার। সিলেট সার্কিট হাউসে এই ইফতার মাহফিলে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বিভাগীয় কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীসহ সিলেটের সব সরকারি অফিস-আদালত ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজের নেতারা উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না শুধু সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
মেয়র আরিফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাওয়াত পাননি বলে জানান। এ নিয়ে সুশীল সমাজসহ নাগরিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শুধু আমাদের মেয়র নয়, তিনি আমাদের অভিভাবকও। প্রশাসনের বুঝা উচিত একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়র বহু ওপরে অবস্থান করেন। সরকার যদি মেয়রদেরকে প্রতিমন্ত্রীর যে মর্যাদা দিয়েছিল তা যদি বহাল রাখতো, তাহলে তিনি প্রতিমন্ত্রীর সমমর্যাদার সম্মান পেতেন। এছাড়া তিনি দলীয় বিবেচনায় কোন বিতর্কিত কাজ করছেন বলে আমাদের মনে হয় না। সেজন্য ভবিষ্যতে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখার আহবান জানান তিনি।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ লালা বলেন, জেলা প্রশাসনের ইফতার মাহফিলে মেয়রকে দাওয়াত দেয়া উচিত ছিল। মেয়র হলেন নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের পাঁচ লাখ মানুষের ভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি। তাকে দাওয়াত না দেয়া মানে নগরীর পাঁচ লাখ মানুষকে অপমান করা ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এ ধরণের মানসিকতা পরিহারের আহবান জানান।
সিলেট স্টেশন ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, নগরীর একজন শীর্ষ জনপ্রতিনিধি হলেন মেয়র। মেয়রের এই পদ এক সময় প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাপূর্ণ ছিল। সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে হলেও তাকে দাওয়াত দেয়া উচিত ছিল। তাকে দাওয়াত করলে অনুষ্ঠানের মর্যাদা কোন ক্রমেই কমতো না বরং বাড়তো।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সন্দীপ কুমার সিংহ বলেন, ইফতার মাহফিলে কাদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে বিষয়টি তার জানা নেই।
একই জবাব জেলা প্রশাসনের আর ডিসি উম্মে সালিক রুমাইয়ারও। তিনি বলেন, দাওয়াতের বিষয়টি আমার দায়িত্বে ছিল না। আপনারা এনডিসি বা এডিএম শাখায় যোগাযোগ করে দেখেন।
পরে সিলেট জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ নাসির উল্লাহ খান ও সিলেট জেলা প্রশাসকের এনডিসি মুহাম্মদ এরশাদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলেও এটা তাদের দায়িত্ব নয় বলে জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।