পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা। দিনের শুরুতে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শান্তি শোভাযাত্রা করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিরা। মন্দিরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। অহিংসা, সাম্প্রদায়িকতা, অন্ধকার দূর করে সকল মানুষের সহাবস্থান করে প্রার্থনা করেন সংঘনায়ক সুদ্ধানন্দ মহাথের। স¤প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখার মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা ছিল সবার কন্ঠে। উৎসব নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকা ছিল বৌদ্ধ মন্দিরসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো।
ভালো কাজ সবসময় কর। বারবার কর। মনকে ভালো কাজে নিমগ্ন রাখো। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর... আড়াই হাজার বছর আগে এমন বাণী দিয়েছিলেন মহামতি বুদ্ধ। হিংসাকে বিসর্জন দিয়ে শান্তির জন্য কাজ করার আহবান জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মূলমন্ত্র- জগতের সকল প্রাণি সুখী হোক। গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধি লাভ ও মহাপরিনির্বাণ- তিনটি ঘটনা ঘটেছিল বৈশাখী পূর্ণিমায়। তাই বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শ্রেষ্ঠষ্ঠতম ধর্মীয় উৎসব এটি।
মঠ ও মন্দিরে পূজা দিয়ে দিনটি শুরু করেন বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা। অর্চনার পাশাপাশি ছিলো পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেদ প্রার্থনা পর্ব। প্রার্থনা পর্বে বুদ্ধের বাণী পাঠ করেন সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরো।
ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার সমাবেত প্রার্থনায় অংশ নিয়ে দেশ বিদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিরা সারা বিশ্বের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করে। এর আগে রাজধানীতে দিনের শুরুতে সকল মানুষের শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য বর্ণাঢ্য শান্তি শোভাযাত্রা করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।