Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মনোনয়ন বিক্রির বাকি ৪ দিন

বগুড়া সদরে উপনির্বাচন

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বগুড়া সদর আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে মনোয়নপত্র দাখিলের শেষদিন আগামী ২৩ মে। অথচ গত বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩টি। সবগুলোই কিনেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। গতকাল শনিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিএনপি এই উপনির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তা জানা যায়নি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের কাছে মনোনয়ন বিক্রির কাজ শেষ করে ফেলেছে। জাতীয় পার্টির আশা এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমরই হতে যাচ্ছেন মহাজোটের প্রার্থী ।
বৃহষ্পতিবার বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন কিনেছেন বগুড়া সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুর রহমান রাজ ভান্ডারী, বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু ও জনৈক আবুল হাসান। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের পাওয়া তালিকা অনুযায়ী ৬ জন রয়েছেন । এরা হলেন যথাক্রমে জার্মান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আসাদুর রহমান খন্দকার লাইজু, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. ছিদ্দিকুর রহমান, বিশিষ্ট আইনজীবী, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু ও টি জামান নিকেতা এবং বগুড়া চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মাসুদুর রহমান মিলন। এর মধ্যে আসাদুর রহমান খন্দকার লাইজু ইতোপূর্বে ১৯৯৬ সালের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড তাদের দলীয় প্রার্থীতা সংগ্রহকারীদের নিয়ে আলোচনায় বসবে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা বিএনপির সদ্য নিযুক্ত আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ জি এম সিরাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা হাইকমান্ডের ব্যাপার আমরা কিছু জানি না।
বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমর ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হলেও গত নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। শেষ পর্যন্ত এই আসনের তিনিই আবার মনোনয়ন পাবেন বলে জাতীয় পার্টির নেতাদের ধারণা। বেগম রওশন এরশাদ নুরুল ইসলাম ওমরের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দূতিয়ালী করছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।
২০ দলের বৃহত্তম শরিক জামায়াত এখানে কী ভূমিকায় থাকবে তাও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে এই আসনে বিএনপি যদি প্রার্থিতা দেয় সেক্ষেত্রে সরকার চাইলে জামায়াতের কেউ এখানে ভোট করতেও পারে যাতে বিএনপির ভোট কাটা যায়। ধারণা করা হচ্ছে রোববারের মধ্যেই সব দলের মনোনয়ন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পরিষ্কার হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ