পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন নিয়ে ব্যবসায়ীদের আর কোনো আপত্তি নেই। ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল; সেটি পুরোপুরি কেটে গেছে। আসছে বাজেটে কোনো পণ্যে ভ্যাটের হার বাড়বে না বরং কমবে। আইনগত কারনে ভ্যাট আইনের সব তথ্য এখন প্রকাশ সম্ভব নয়, তবে আইনে ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং ব্যবসায়ী বান্ধব আইন হবে। সেটা বোঝানোর পর ব্যবসায়ীরা আশ্বস্ত হয়েছেন। আর এ কারনে এনবিআর’র সঙ্গে ব্যবসায়ীদের কোনো দূরত্ব নেই।
গতকাল শেরে বাংলানগরে অর্থমন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও এফবিসিসিআই’র প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সূত্র মতে, ভ্যাট আইনের মতো বাংলাদেশে কোন আইনের বাস্তবায়ন এত দীর্ঘায়িত হয়নি। চলতি বাজেটের আগে ব্যবসায়ীদের তীব্র আপত্তি মুখে কাউন্ট-ডাউন শুরু করেও পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে সরকার। এবারও ভ্যাট আইন ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হচ্ছে এমন ঘোষণা পর আবারও আপত্তি তোলেন ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে এফবিসিসিআই’র সাথে বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন দু’একদিনের কাজ নয়, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া অর্থাৎ এটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনযোগ্য। ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের পরও যদি কোথাও কোনো সীমাবন্ধতা দেখা দেয় তাহলে তা জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব করতে পরিবর্তন করে সময়োপযোগী করা হবে। ভ্যাট আইন স্বচ্ছতার সঙ্গে ঝামেলাহীনভাবে আসছে ১ জুলাই থেকেই বাস্তবায়ন করা হবে। এই বিষয়ে ব্যবসায়ীরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
ভ্যাট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনো পণ্যে ভ্যাট বাড়বে না বরং কমবে। তবে ভ্যাটের আওতা বাড়বে। সবকিছু জনবান্ধব আর দেশের অগ্রগতির লক্ষ্যে সুন্দরভাবে করা হবে। ভ্যাট দিতে কেউ কষ্ট পাবে না, সব কিছুই করা হবে উইন উইন অবস্থানে। কোন পণ্যে কি হারে ভ্যাট বসবে ব্যবসায়ীরা তা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে। আমরা তাদেরকে বলেছি, বিদ্যমান যেসব আইন আছে, তাতে বাজেট ঘোষণার আগ পর্যন্ত কোন পণ্যে কত শতাংশ হারে ভ্যাট বসবে, সে তথ্য প্রকাশের কোনো নিয়ম নেই। বাজেট ঘোষণার আগে এসব তথ্য প্রকাশ করা যায় না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা থাকলে তা পরবর্তীতে সংশোধন ও পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা আমাদের কাম্য। ভ্যাট আইন সংস্কারে এফবিসিসিআই ও এনবিআর’র যৌথ উদ্যোগে একটি ওয়ার্কিং গ্রæপ করা হবে। যারা ভ্যাট আইন সংস্কারে ভবিষ্যতে কাজ করবে।
মন্ত্রীর আশ্বাসকে স্বাগত জানিয়ে, ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে কোন আপত্তি নেই বলে জানান এফবিসিসিআই’র নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে এফবিসিসিআই’র সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন অর্থমন্ত্রীর উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে বলেন, দেশটা আমাদের সবার। দেশের উন্নয়নে আমরা অর্থমন্ত্রীর পাশে আছি। উনি আমাদের বলেছেন, কোনো পণ্যে ট্যাক্স বৃদ্ধি পাবে না। তবে ট্যাক্সের আওতা আরো বাড়বে। ভ্যাটের কারণে পণ্যের দাম বাড়–ক এটা অর্থমন্ত্রী চান না।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নব নির্বাচিত সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমেএ-এর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান প্রমূখ।
উল্লেখ্য, আগামী ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া ভ্যাট আইন নিয়ে সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না বলে অভিযোগ করে আসছে ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে কোন পণ্যে কত শতাংশ ভ্যাট বসবে তা নিয়েও অস্পষ্টতা রয়েছে বলে গত কয়েকদিন ধরে বলে আসছেন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। বিষয়টি সুরাহা করতে অর্থমন্ত্রী ও এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর চিঠিও দেওয়া হয়েছিল ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে। এমন বাস্তবতায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।