পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশালে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে স্থানীয় হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক এনামুল হক নাসিমকে পুলিশ আটক করেছে।
এনামুল হক পরিচালিত কোচিং সেন্টারে সম্প্রতি বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি পূর্ব থেকেই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত থাকলেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে শিক্ষক এনামুল গ্রেফতার হওয়ার পর পরই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে অভিযোগ তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। বরিশাল মহানগর কোতয়ালি থানা সাব-ইন্সপেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক এনামুল হকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাকে সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হালিমা খাতুন বিদ্যালয়ের অদুরে একটি ভবনের নিচতলা ভাড়া নিয়ে সেখানে কোচিং করান শিক্ষক এনামুল হক। হালিমা খাতুন বিদ্যালয়ের ছাত্রীরাই মূলত এখানে কোচিং করেন। সম্প্রতি এক বিকালে কোচিং শেষে অন্য ছাত্রীরা চলে গেলেও দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বসিয়ে রাখেন ওই শিক্ষক। এক পর্যায়ে তিনি ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এতে ছাত্রীটি কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে তখন ছেড়ে দেয়া হয়। পরে ছাত্রীর অভিভাবক এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে লিখিতভাবে জানান। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম ফখরুজ্জামান বলেন, বিদ্যালয় রমজানের ছুটি শুরু হওয়ার দুদিন আগে খন্ডকালীন শিক্ষক এনামুল হকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার গুঞ্জন তিনি শুনতে পান। বিষয়টি নিয়ে তার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ঐ শিক্ষককে একান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি পুরো বিষযটি অস্বীকার করেন। তারপরও রমজানের ছুটির পরে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের চিন্তাভাবনা চলছিল। সোমবার শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ক্লাস চলাকালে শিক্ষক এনামুলকে পুলিশ আটক কওে নিয়ে যায়। এরপরে স্কুল কর্তৃপক্ষ জরুরী সভা করে শিক্ষক এনামুলকে সাময়িক বরখাস্ত এবং অভিযোগ তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।