পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশে এখন দারিদ্র্যের হার দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক আট শতাংশ। এছাড়া, অতিদারিদ্র্যের হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক তিন শতাংশে। ২০১৮ সালের প্রক্ষেপন অনুযায়ী বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০১৭ সালে দেশের সার্বিক দারিদ্র্যের হার ছিল ২৩ দশমিক এক শতাংশ। আর অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ১২ দশমিক এক শতাংশ।
সোমবার (১৩ মে) হাইজহোল্ড ইনকাম এন্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে (হায়েস) প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করে বিবিএস। প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, বিবিএস’র মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন। এ সময় প্রকল্প পরিচালক ড. দিপংকর রায়, পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং যুগ্ম পরিচালক এ কেএম আশরাফুল হক উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে যেখানে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ দশমিক শুন্য শতাংশ, ২০১৬ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২৪ দশমিক তিন শতাংশে। ২০০৫ সালে যেখানে অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ২৫ দশমিক এক শতাংশ সেখানে ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক নয় শতাংশ।
কৃষ্ণা গায়েন জানান, ২০০৫ সালে মোট ১০ হাজার ৮০টি পরিবার, ২০১০ সালে ১২ হাজার ২৪০টি পরিবার নিয়ে জরিপ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে নমুনা খানার সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৬ হাজার ৮০টি করা হয়। এই প্রকল্পের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হয় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে বিশ্ব দারিদ্র্য নিরসন দিবসে।
খানার আয় ব্যয় : জরিপ অনুযায়ী দেশের খানা প্রতি মাসিক আয় দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। ২০১০ সালে ছিল ১১ হাজার ৪৭৯ টাকা। মাথাপিছু আয় ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৯৪০ টাকা, যা ২০১০ সালে ছিল দুই হাজার ৫৫৩ টাকা। সর্বশেষ হিসেবে পরিবার ভিত্তিক ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা। ২০১০ সালে যা ছিল ১১ হাজার ২০০ টাকা।
মাথাপিছু আয় ও ব্যয় বাড়লেও খাদ্যগ্রহণের প্রবণতা কমে এসেছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে মাথাপিছু ৪১৬ গ্রাম ভাত গ্রহণ করা হলেও এর পরিমাণ নেমেছে ৩৬৭ গ্রামে। ২০১৬ সালে মাথাপিছু গম গ্রহণের প্রবণতা ১৯ দশমিক ৮৩ গ্রামে। ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ২৬ দশমিক ০৯ গ্রাম। মাথাপিছু ক্যালরি গ্রহণের ২০১৬ সালে দুই হাজার ২১০ কিলোক্যালরিতে নেমে এসেছে। ২০১০ সালে মাথাপিছু গড়ে দুই হাজার ৩১৮ কিলো ক্যালরি খাদ্য গ্রহণ করা হতো।
স্বাধীনতার পর থেকে অর্থের বড় অংশ খাদ্যে ব্যয় করা হলেও এবার খাদ্য বহির্ভূত খাতে বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে পরিবারগুলোর গড় অর্থ ব্যয়ের ৪৭ দশমিক সাত শতাংশ ব্যয় হয়েছে খাদ্যে।
এ সময়ে খাদ্যবহির্ভূত খাতে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ৩০ শতাংশে। ২০১৬ সালে খাদ্য খাতে ৫৪ দশমিক আট শতাংশ ও অন্য খাতে ৪৫ দশমিক ২০ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।