পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ থেকে সাতক্ষীরায় আনুষ্ঠানিকভাবে আম সংগ্রহ শুরু হচ্ছে। চলবে জুন মাস পর্যন্ত। সাতক্ষীরার এই বিখ্যাত সুস্বাদু আম এবারো সুদূর ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এ লক্ষ্যে জেলার প্রায় ৪ হাজার ১০০ হেক্টর জমির ৩ হাজার ৯৮৯টি বাগানে আম গাছ পরিচর্যা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলার ১ হাজার ২৩০ হেক্টর জমির ১ হাজার ৫৪০টি বাগানে ১২ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন, কলারোয়ার ৬৫০ হেক্টর জমির ১ হাজার ৩৫০টি বাগানে ৬ হাজার ৩৫ মেট্রিক টন, তালায় ৭১৫ হেক্টর জমির ১ হাজার ৪৫০টি বাগানে ৭ হাজার ৬০ মেট্রিক টন, দেবহাটায় ৩৮০ হেক্টর জমির ৪৭৭টি বাগানে ৩ হাজার ৬৮৫ মেট্রিক টন, কালিগঞ্জে ৮২৫ হেক্টর জমির ১৪২টি বাগানে ৮ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন, আশাশুনিতে ১৪০ হেক্টর জমির ১৯০টি বাগানে ১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন ও শ্যামনগরে ১৬০ হেক্টর জমির ১৫০টি বাগানে ১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা থেকে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩১.৮৩ মেট্রিক টন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৭ মেট্রিক টন নিরাপদ ও বালাইমুক্ত আম রপ্তানির পর চলতি মৌসুমেও আম রফতানির লক্ষ্যে জেলার ৫০০ কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
অপরদিকে, গাছ থেকে আম সংগ্রহের সময় সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ বিবৃতিতে এ সময় সূচি প্রকাশ করা হয়। সময়সূচি অনুযায়ী গোবিন্দভোগ আম আজ গাছ থেকে পেড়ে তা বাজারজাত করতে পারবে জেলার আম চাষিরা। এছাড়া গোপালভোগ আম ১৫ মে, হিমসাগর ২২ মে, ল্যাংড়া ২৯ মে এবং আম্র পালি আম ১৮ জুন গাছ থেকে পেড়ে বাজারজাত করণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আরো জানায়, গত কয়েক বছর ধরে সাতক্ষীরার আম দেশের গন্ডি পেরিয়ে ইউরোপের বাজার দখল করেছে। এই অর্জন ধরে রাখতে হলে এবং দেশের মাটিতেও সাতক্ষীরার আমের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে আম পাড়ার ১৫ দিন আগে যে কোন প্রকার স্প্রে বন্ধ করতে হবে। আম সংগ্রহের স্থান ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত স্থান বজায় রাখতে হবে। আম গাছে থাকা অবস্থায় বা আম পেড়ে কার্বাইড ব্যবহার করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আম ভাঙা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দিনে দুই বার বাজার মনিটরিং করা হবে। আম পরিপক্ক হওয়ার আগে আম ভাঙা যাবে না। প্রকাশিত সময়ের বাইরে আম পরিপক্ক হলে কৃষি কর্মকর্তাদের লিখিত অনুমোদন সাপেক্ষে আম পাড়া যাবে। আম বাজারজাত ও বিদেশে রপ্তানির স্বার্থ পরিপন্থী কোন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।