পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পরিচালনায় অনেক অসঙ্গতি রয়েছে দাবি করে জোটের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনসহ শীর্ষ নেতাদের চিঠি দিয়েছেন আরেক শরিক দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী।
জোটের শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্ত নেতাদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ, প্রহসনের নির্বাচনি নাটক প্রত্যাখ্যান করে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের শপথ, মোকাব্বির খানের শপথগ্রহণের পরে ‘গেট আউট’, আবার গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলে মোকাব্বির খানের উপস্থিতি জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। রাস্তাঘাটে জবাব দেওয়া যাচ্ছে না। এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অনেক কর্মকাণ্ডই স্পষ্ট নয়।’’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘দেশে নারী-শিশু ধর্ষণ, হত্যা মহামারি আকারে ধারণ করেছে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট হিসেবে তার প্রতিকারে তেমন কোনও ভূমিকা রাখা যাচ্ছে না বা হচ্ছে না। সর্বশেষ বিএনপির ৫ সংসদ সদস্যের শপথ নেওয়াকে স্বাগত জানানো এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকা-এসব এক জাতীয় প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘জনগণের মনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে যেসব প্রশ্ন জেগেছে তার যথাযথ প্রতিকার ও প্রতিবিধান কামনা করছি। না হলে অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে আগামী ৯ জুন বা পরবর্তী সময়ে দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কৃষক শ্রমিক লীগকে ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হবো।’
কামাল হোসেন ছাড়াও এই চিঠি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে দেওয়া হয়েছে।
চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘চিঠিতে ভালো কথা বলা হয়েছে। জোট করে ঘরে ঘুমালে তো হবে না, মাঠে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে জোটের বৈঠক ডাকা হবে। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলে একটা সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। আশা করি একটা সমাধান বের করতে পারলে তারা জোট ত্যাগ করবে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।