পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতি বদ্ধকূপে পরিণত হয়েছে। তীব্র শ্রমিক আন্দোলন এই দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার পথ তৈরি করে দিতে পারে। প্রবীণদের অভিজ্ঞতার সার নিয়ে নতুনরা এ পথে এগিয়ে যাবে, নির্মাণ করবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে নির্মিত হওয়ার পেছনে এবং সমাজ হিসেবে আজ পর্যন্ত আমাদের যা কিছু অগ্রগতি হয়েছে, তার পেছনে আছে শ্রমিকের শ্রম। তাদের সংগ্রাম এবং সর্বোপরি শ্রমিক আন্দোলন যা বিভিন্ন পর্বে রাজনৈতিক আন্দোলনের পথ ঠিক করে দিয়েছে। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান রাজনৈতিকভাবে পরিণতি লাভ করেছে ’৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভেতর দিয়ে। কিন্তু এই গণ-অভ্যুত্থানের মূল শক্তি এসেছে শ্রমিকের অংশ্রগ্রহণের ভেতর দিয়ে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে প্রবীণ শ্রমিক নেতা ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী ও ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আতিউল ইসলামকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান উপলক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘শ্রমিক আন্দোলনের একাল-সেকাল’ বিষয়ে আলোচনা করেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আতিউল ইসলাম ও গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রবীণ শ্রমিক নেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী এবং শাহ আতিউল ইসলামের জীবন ও কাজের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন তাসলিমা আখতার। এরপর শ্রমিক নেতাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও আলোকচিত্র তুলে দিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন ইমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
অন্য নেতৃবৃন্দ বলেন, গার্মেন্ট খাত এখন শ্রমিকদের অন্যতম প্রধান খাতে রূপান্তরিত হয়েছে। এ খাত একটি আন্তর্জাতিক খাত হিসেবে কারখানার মালিকরা আন্তর্জাতিক বৃহৎ পুঁজির শোষণের শিকার হচ্ছে। ফলে এ খাতের শ্রমিকরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেও মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে পারছে না। অন্য দিকে শ্রমিক সংগঠনগুলোও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে আছে বিভিন্ন ভাগে। ফলে এই খাতের আন্দোলন এমনভাবে সংগঠিত করতে হবে, যা এ খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিকদের মানুষ হিসেবে মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।