পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রচন্ড খরতাপে রাজশাহী অঞ্চলে বিরাজ করছে এক অসহনীয় অবস্থা। খরতাপে পুড়ছে মানুষ। পুড়ছে প্রকৃতি। জীব জন্তুর অবস্থাও কাহিল। দমবন্ধকরা এক অস্বস্তিকর অবস্থা। বয়ে যাচ্ছে তাপদহ। মরা পদ্মার বিশাল বালুচর থেকে ভেসে আসছে তপ্ত বালু মেশানো গরম বাতাস। চোখেমুখে জ্বালা ধরাচ্ছে। ঘরে বাইরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোথাও স্বস্তি নেই, শান্তি নেই। দিনে রাতে সব সময় দর দর করে ঘাম ঝরছে। দিনে লু-হাওয়া আর রাতে গুমোট গরম। রোজাদারসহ বৃদ্ধ শিশুরা কাহিল হয়ে পড়ছে।
আবহাওয়ার পারদ চড়েছে ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি। কিন্তু খরতাপ অনুভুত হচ্ছে তার চেয়ে বেশি। এমন বিরূপ আবহাওয়ার সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের যাওয়া আসার খেলা। দিন রাত সেহেরী তারাবীহ ইফতার কোন সময় বাদ যাচ্ছেনা বিদ্যুতের যাওয়া আসার খেলা। এমনকি গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন ছিল অফিস আদালত সব বন্ধ। স্বাভাবিক কারনে বিদ্যুতের চাহিদা কম। তারপরও বন্ধ ছিলনা লোডশেডিং। নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজারে সকাল থেকে বেশ ক’ঘন্টা বিদ্যুত ছিলনা। অথচ ছুটির দিনে বাজার করতে এসে গলদঘর্ম হতে হয় ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কে। এনিয়ে মানুষের ক্ষোভের অন্ত ছিলনা।
একদিকে খরতাপ অন্যদিকে বিদ্যুতের যাওয়া আসা। ঘরবন্দী মানুষ গরমে হাসফাঁস করছে এসি ফ্যান কোন কিছু কাজে আসছেনা। বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের অভাবে ওয়াসার সব গভীর নলকুপ এক সাথে না চালানোর কারনে পানি সরবরাহে চরম বিঘ্ন ঘটছে।
ভ্যাপসা গরমে কি দালান বাড়ি কি টিনের বাড়ি সর্বত্র এক অসহনীয় অবস্থা। তাপ যেন টিনের চালা চুইয়ে নামছে। ছাদের ওপর রক্ষিত পানির ট্যাংকগুলো যেন ফুটন্ত পানির আধার। দিনের বেলা ব্যবহার করা দায় হয়ে উঠেছে। খরতাপে মানুষের হাত মুখের চামড়ার রং তামাটে বর্ণ ধারন করছে। ঘামের কারনে একটা শার্ট গেঞ্জি একবারের বেশি ব্যবহার করতে পারছেনা। লন্ড্রি খরচ বেড়েছে। প্রচন্ড খরতাপ থেকে রেহাই পাবার জন্য মানুষ যখন বৃষ্টির প্রত্যাশার প্রহর গুনছে। তখন ভিন্ন সুর বরেন্দ্রর গ্রামীন জনপদে। মাঠে মাঠে পাকা বোরো ধান। শুরু হয়েছে কাটাই মাড়াই। এ সময় ঝড় বৃষ্টি হলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। কাকডাকা ভোর হতে চলছে ধান কাটা। খরতাপ মাথায় নিয়ে চলছে কাটা মাড়াই। আবহাওয়ায় ঝড় বৃষ্টি আসার আগেই সবাই তাদের ঘাম ঝরানো ফসল নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে চায়। শ্রমিক সংকটের কারনে ধান কাটাতে বিঘ্ন ঘটছে। বেড়েছে ধান কাটা শ্রমিকের মজুরি। কোথাও পানি পান্তার সাথে শ্রমিকদের খাবার শ্যালাইনও দেয়া হচ্ছে। বেড়েছে খাবার শ্যালাইন বিক্রি। বেড়েছে খরতাপজনিত রোগ বালাই। বৃদ্ধ ও শিশুরা কাহিল হয়ে পড়ছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়রিয়া শ্বাসকষ্ট হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের ভীড় বেড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, হিটষ্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে ছায়াযুক্ত স্থানে অবস্থান করতে। পথ চলতে ছাতা ব্যবহার আর মাঠে কাজ করতে মাথাল ব্যবহারের জন্য।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল দুপুরে তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর আদ্রতা ছিল ৪৮ শতাংশ। বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যাবার কারনে তাপমাত্রা বেশি অনুভুত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।