পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃতজ্ঞতাবোধ শক্তির একটি মহান উৎস এবং এটি অনন্ত সুখের কারণ হতে পারে। প্রশ্ন হলো, কীভাবে অর্জন করা যায়? চারপাশের সবকিছু যুক্তিসঙ্গত দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণ করার মাধ্যমে আমরা এর শুরু করতে পারি।
কি পেয়েছেন বা পেতে পারতেন তা চিন্তা না করে বরং যা পেয়েছেন তা নিয়েই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করে কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। জীবনে যে কোনও পরিস্থিতিতে এটি মাথায় রাখতে হবে যে, আপনার চারপাশের অনেকের চেয়েই আপনি ভালো অবস্থানে আছেন। যদিও অনেকই আপনার থেকে বেশী সুবিধাপ্রাপ্ত হতে পারে। তবে, চারপাশের অনেকের চেয়ে ভাল রাখার কারণে আমাদের সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত, যার ইচ্ছা ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না।
এক মিনিটের জন্য চারপাশে তাকালে আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে, আমরা অসংখ্য নেয়ামত প্রাপ্ত। আমাদের এটি স্বীকার করা উচিত এবং কৃতজ্ঞতা অনুভব করা উচিত। অনেকেই ভাবতে পারেন না, জীবন বর্তমানে যেমন, এর থেকেও কঠিন, দুঃখের এবং কষ্টের হতে পারতো বা পারে।
যদি আমরা কেবল দেখি, অন্যদের কাছে যা আছে, আমাদের কাছে নেই তবে আমরা চিরতরে অসন্তুষ্ট থাকব। কারণ আমরা যা চাই তা পাওয়ার পরে, আমাদের মন আবার অন্য কিছুর জন্য আগ্রহ বোধ করে। এভাবে নতুন নতুন ইচ্ছা উদ্ভ‚ত হয়। এজন্য, সুখী এবং সন্তুষ্ট হওয়ার পরিবর্তে, আমরা সবসময় আরো বেশি কিছু চাই।
অসন্তুষ্ট থাকার এই অভ্যাসের ফলে মানুষ অসুখী হয়। এবং এই বিষাদ কখনও কখনও আমাদের চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে। আমাদের যা নেই তা নিয়ে দুঃখ পাওয়ার পরিবর্তে, আমাদের যা আছে তাই নিয়ে আমরা কী করতে পারি সেদিকে আমাদের চিন্তা করা উচিত। এই সামন্য প্রচেষ্টা এবং দৃঢ়তা আমাদের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে সাহায্য করবে। কৃতজ্ঞতার অভাবের যে কোনও ব্যক্তি বা সমাজ নৈতিক মূল্যবোধ হারাতে পারে।
যখন আমরা ধনী এবং আরও সফল না হওয়ার জন্য আক্ষেপ করা বন্ধ করি, যখন আমরা তুলনামূলকভাবে যারা পিছিয়ে আছে তাদের কথা স্মরণে রাখি, যখন আমরা অগণিত নেয়ামত প্রদান ও সুন্দর অভিজ্ঞতার জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকি এবং কারো কাছ থেকে বড় প্রত্যাশা করার আগে যখন আমরা নিজেকে জিজ্ঞেস করি ‘তার জন্য আমি কী করেছি?’, তখন যে সুখ পাওয়া যায় তা স্থায়ী এবং ঐশ্বরিক।
একটি চীনা নীতিকথায় বিষয়টি পরিস্কার হয়, ‘আমি জুতার জন্য আল্লাহুর কাছে দোয়া করা ছেড়ে দিলাম যখন একজন পা বিহীন মানুষ দেখলাম।’
যে ব্যক্তি সন্তুষ্ট হতে শিখেছে, সে কখনো অসুখী হয় না এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করে। তাই জীবনে যে প্রাপ্তি, তাই নিয়ে আমাদের কৃতজ্ঞ হতে শেখা উচিত, এবং সব সময় এবং পরিস্থিতিতে সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।