পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী ঢাকার সবুজবাগে শ্রী-শ্রী বরদেশ্বরী মহা-শ্মশানে প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সন্ধায় সনাতন ধর্মের রীতি অনুযায়ী তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দীর কফিনে ফুল দিয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানে চলচ্চিত্রের মানুষেরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানায়। এরপর তাকে নেওয়া হয় চ্যানেল আই প্রঙ্গণে। এখানে শ্রদ্ধা জানানোর পর তাকে নেওয়া হয় রামকৃষ্ণ মিশনে।
এর আগে গতকাল বুধবার সকালে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় সিঙ্গাপুর থেকে। এরপর তার মরদেহ নেওয়া হয় গ্রীণ রোডের তার বাসায়। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সংগীত শিল্পী সুবীর নন্দী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর নেয়ার দুদিন পর সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেও পরে অবনতি হতে থাকে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা চলাকালীন পরপর তিনবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। এ ছাড়া ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও তিনি একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল রাতে পরিবারসহ সিলেট থেকে ফিরছিলেন সুবীর নন্দী। উত্তরার কাছাকাছি আসতেই হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে তাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিএমএইচে নেয়া হয়।
সংগীত শিল্পীর দীর্ঘ ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে সুবীর নন্দী গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছর তিনি পান দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক।
সুবীর নন্দীর গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো- পাহাড়ের কান্না দেশে তোমরা তাকে ঝড়না বলো, আমার উড়াল পঙ্খি রে, কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়, চাঁদে কলঙ্ক আছে যেমন, বধূ তোমার আমার এই যে পিরিতি, একটা ছিল সোনার কইন্যা, কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো, আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাদতে শিখেছি, দিন যায় কথা থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।