পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির সম্ভাবনাময় বড় বাজার ব্রাজিল। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাকের সম্ভাবনা বেশি। উচ্চ শুল্ক হারের কারণে ব্রাজিলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক আশানুরুপ রফতানি হচ্ছে না। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময় ও ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষরের মাধ্যমে ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য স¤প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়া তাবাজারা ডি ওলিভেরিয়া জুনিয়রের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত অর্থ বছর বাংলাদেশ ব্রাজিলে ১৭৬ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করা হয়েছে ১৫২০ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। ব্রাজিলের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছে। এসব ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করলে ব্রাজিলের বিনিয়োগকারীরা বেশি লাভবান হবেন।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মালিক ও এফবিসিসিআইয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুত ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানানাগুলো ব্রাজিলের ব্যবসায়ীদের দেখানো দরকার। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা বৈঠকে বসলে বাণিজ্যের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান করা সম্ভব। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা চাচ্ছেন বাণিজ্য শুরু করতে, এখন প্রয়োজন কার্যকর উদ্যোগ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সে উদ্যোগ নেবে। এত করে জুতা, মাছসহ অনেক পণ্য রফতানি বৃদ্ধি পাবে।’
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়া তাবাজারা ডি ওলিভেরিয়া জুনিয়রের বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে ব্রাজিলে। ব্রাজিলের ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে আগ্রহী। উভয় দেশের মধ্যে এফটিএ সম্পাদনের মাধ্যমে উচ্চ শুল্কহার কমিয়ে বাণিজ্য সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। ব্রাজিলের বাণিজ্য মারকোসুর নামে একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য জোট দ্বারা পরিচালিত হয়। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো- আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ে। এছাড়া-বলিভিয়া, চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, পেরু ও সুরিনাম এ জোটের সহযোগী সদস্য। পূর্ণ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর জনসংখ্যা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন, গড় মাথাপিছু আয় ১০ হাজার মার্কিন ডলার। ব্রাজিল আধুনিক পদ্ধতিতে বিশ্ববাণিজ্য করে থাকে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে বাণিজ্য করা সম্ভব। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের বসে কথা বলতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।