পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের কার্যক্রম চলছে বহিরাগতদের দিয়ে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শুন্য থাকার সুযোগে বহিরাগতরাও অফিসগুলোতে দাবরে বেড়াচ্ছে। আর সরকারীভাবে লোকবল সঙ্কটের কারনে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। বর্তমানে বহিরাগতদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে জমির মালিকরা। আর বহিরাগতদের দিয়ে ভুমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
উপজেলা ভূমি অফিস সুত্র জানায়, ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে ঘঠিত রূপগঞ্জ উপজেলা। এখানে মোট ৯টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সহকারী কর্মকর্তা ১ জন, উপ-সহকারী কর্মকর্তা ১জন ও অফিস সহায়ক ২ জন থাকার নিয়ম রয়েছে। দেখা যাচ্ছে ৩৬ পদের মধ্যে ১০টি পদই শুন্য। এছাড়া সার্টিফিকেট সহকারী ১ জন, অতিরিক্ত সার্টিফিকেট সহকারী ১জন ও চেইনম্যান ১জনের পদ শুন্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, গুরুত্বপুর্ণ পদ হিসেবে কানুনগোর পদটি এখানে শুন্য। বর্তমানে সার্ভেয়ার জামাল উদ্দিন ভারপ্রাপ্ত কানুনগো হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ উপজেলার মানুষ এক সময় কৃষি চাষের উপর নির্ভর ছিলো। বর্তমানে পুর্বাচল উপশহর, বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প, শত শত শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এখানে শতাংশ প্রতি জমি দুই লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়। এতে ভূমি অফিসে প্রতিদিন শত শত নামজারি আবেদন জমা পড়ছে। আর এ নামজারি করতে গিয়ে অনেকে অনেকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। হাজার হাজার টাকা গুনতে হয় জমির মালিকদের।
ভূমি অফিসে নামজারি করতে আসা জমির মালিকরা জানান, তারা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান এ বছরের ১৮ ফেব্রæয়ারী পদোন্নতি নিয়ে বদলি হয়ে গেছেন। এরপর সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে গত ২৩ এপ্রিল যোগদান করেন তরিকুল ইসলাম। মাঝখানে ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ইউএনও মমতাজ বেগম।
এছাড়া কানুনগো জুলফিকার আলী গত ২৭ মার্চ বদলি হয়ে সাভার ভুমি অফিসে যোগদান করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কানুনগোর পদটি শুন্য রয়েছে। জামাল উদ্দিন সার্ভেয়ারের দায়িত্বের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত কানুনগো হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পদ শুন্যসহ এসব নানা কারনে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয়েছে জামির মালিকদের।
ভুক্তভোগী জমির মালিকরা জানান, এর আগে তৎকালীন ইউএনও (বর্তমানে এডিসি ঢাকা) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) (বর্তমানে ইউএনও শিবচর) আসাদুজ্জামান দায়িত্বে থাকাকালে নামজারিসহ ভুমি সংক্রান্ত বিষয়ে অতি সহজেই সমাধান পেয়ে গেছেন জমির মালিকরা। এছাড়া সরকারি বিপুল পরিমাণ জমি উদ্ধার করেছেন। তারা এখান থেকে চলে যাওয়ার পর থেকেই উদ্ধারকৃত জমিগুলো ফের বেদখল হয়ে যাচ্ছে। হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে জমির মালিকদের। ভুমি অফিসের কার্যক্রম এখন হযবরল অবস্থা।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ২ থেকে ৪ জন লোকবল থাকলেও সেখানে কাজ করছেন ১০ থেকে ১৫ জন মিলে। এছাড়া উপজেলা ভূমি অফিসের একই অবস্থা। এসব বহিরাগত লোকজনকে অলিখিতভাবে নিয়োগ দিয়েছেন কতিপয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আর এসব বহিরাগতদের দিয়েই জমির মালিকদের বিভিন্ন কায়দা কৌশলে ফাঁদে ফেলানো হয়। আর ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয়া হয় হাজার হাজার টাকা। টাকা না দিলেই নানাভাবে হয়রানি করা হয় জমির মালিকদের।
বহিরাগতদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। এ জন্য হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে দেয়। আর বহিরাগতদের দিয়ে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বহিরাগতদের দিয়ে হয়রানির শিকার বন্ধ এবং শুন্য পদগুলো পুরণ করে ভোগান্তি কমানোর দাবি জানান জমির মালিকরা। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এ ব্যপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি সবে মাত্র যোগদান করেছি। যে সব সমস্যা রয়েছে, সেসব সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।