পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে রাজধানীতে প্রতি কেজি দেশি গরুর গোশতের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২৫ টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ৭৫ টাকা বেশি। গত বছর প্রতি কেজি গরুর গোশতের দাম ছিল ৪৫০ টাকা। গতকাল সোমবার রাজধানীর নগর ভবনে গোশত ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় গোশত ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই এই দাম নির্ধারণ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার রমজানে দেশি গরুর গোশত বিক্রি হবে প্রতি কেজি ৫২৫ টাকা, বিদেশি গরুর (বোল্ডার) গোশত বিক্রি করতে হবে প্রতি কেজি ৫০০ টাকায়, যা গত বছর ছিল ৪২০ টাকা। মহিষের গোশত বিক্রি করতে হবে প্রতি কেজি ৪৮০ টাকায়, যা গত বছর ছিল ৪২০ টাকা। খাসির গোশত বিক্রি করতে হবে প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায়, যা গত বছর ছিল ৭২০ টাকা। ভেড়া বা ছাগীর গোশত নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, যা গত বছরও একই ছিল। রমজানে সাধারণ গোশতের দোকানের পাশাপাশি বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরেও সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত দামে গোশত বিক্রি করতে হবে।
বৈঠক শেষে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, নির্ধারিত দামের চেয়ে কোথাও বেশি দামে গোশত বিক্রি করা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোতে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী গোশত বিক্রি করা যাবে।
মেয়র বলেন, পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে ডিএসসিসি জনস্বার্থে বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়াবেন না। গত বছর গোশতের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। সেখানে শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে সেটি বলবো না। কিছু কিছু জায়গায় ৮০ থেকে ৯০ ভাগ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন ব্যবসায়ীরা। এবার সেই ব্যত্যয় যেন না ঘটে এজন্য কঠোর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
গোশত ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, গোশত ব্যবসায়ীদেরকে লুটেরাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একটি গরুর হাটের প্রস্তব গৃহীত হয়েছিল, যা কিনা আজও বাস্তবায়ন হয় নাই। সরকারের দেয়া সুবিধা ভোগ করছে গাবতলী গরু হাটের ইজাদাররা। গোশত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরকার প্রতিটি গরুর হাসিল ১০০ টাকা নির্ধারণ করলেও ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। হাটের ইজারাদারের চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়, যা গোশতের দামের ওপর প্রভাব ফেলে। বারবার অভিযোগ করার পরও উত্তর সিটি কর্পোরেশন এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই সমস্যার যদি সমাধান করা যায়, তাহলে গোশত অনেক কম দামে বিক্রি সম্ভব।
গোশত ব্যবসায়ী নোতদের কথা শুনে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, রমজানে গোশতের অতিরিক্ত মূল্য নেয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইজারাদারদের দৌরাত্ব বন্ধ করতে তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি যথাযথ নজর দেয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া গাবতলী গরুর হাটের অনিয়ম ও চাঁদাবাজি বন্ধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে গোশত ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ডিএসসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান, ঢাকা মেট্রোপলিটন গোশত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ প্রমুখ। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।