পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে সপরিবারে ঢাকায় ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকান পুলিশের তদন্তে তার বিরুদ্ধে ‘বউ পেটানো’র অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। ওই কর্মকর্তার দেশে ফেরানো ঠেকাতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশ মিশনের কয়েক দফা চিঠি চালাচালি হয়েছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ মিশনে পাঠানো সর্বশেষ ডিপ্লোমেটিক নোটে জানিয়ে দিয়েছে, মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে অবশ্যই ১০ই মে’র মধ্যে স্ত্রী-পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ‘বউ পেটানো’র অভিযোগ দায়েরের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে আমেরিকান পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একাধিকবার অভিযুক্ত দেলোয়ার এবং অভিযোগকারী তার স্ত্রীর বক্তব্য নেন। বাংলাদেশ মিশনও একটি ছায়া তদন্তে ৩ জন কর্মকর্তাকে তার বাসায় পাঠায়।
তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত উভয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। তখন তারা নিজেদের রক্ষায় ‘বিরোধ মিটিয়ে ফেলেছেন’ মর্মে মিশনকে অবহিত করেন এবং এমন আচরণ ভবিষ্যতে আর হবে না বলে যৌথ মুচলেকা দেন। বিরোধ মিটে গেছে, উভয়ে নিজ নিজ ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং যুগ্মভাবে তারা ভবিষ্যতে এমন আচরণ না করার বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকার করেছেন জানিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টকে তাৎক্ষণিক বিষয়টি অবহিত করে বাংলাদেশ মিশন। বাংলাদেশ মিশনের চ্যান্সারী প্রধান স্টেট ডিপার্টমেন্টকে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে ফল হয় উল্টো। স্টেট ডিপার্টমেন্ট ওই অভিযোগকে ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ আখ্যা দিয়ে সর্বশেষ যে চিঠি পাঠায় সেখানে দেলোয়ার এবং তার স্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয়া হয়। চিঠিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট স্পষ্টভাবেই জানায়, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল এলিগেশন তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
ওয়াশিংটন মিশনের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা সংক্রান্ত অভিযোগকে ‘ক্রিমিনাল এলিগেশন’ আখ্যা দিয়ে তার কূটনেতিক ‘দায়মুক্তি’ প্রত্যাহার অর্থাৎ পুলিশের হাতে তুলে দিতে অন্যাথায় তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে মধ্য এপ্রিলে চিঠি পাঠায় স্টেট ডিপার্টমেন্ট। মিশন মূলত দেলোয়ারের বিষয়টি তখনই জানতে পারে। তাৎক্ষণিক ঘটনাটির তদন্ত হয় এবং অভিযোগের সত্যতা মিলে। তারা উভয়ে ঘটনার জন্য লজ্জিত এবং আগামীতে এমন আচরণ না করার অঙ্গীকার করলে ফিরতি চিঠিতে স্টেট ডিপার্টমেন্টকে অবহিত করে মিশন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্ট এতে রাজি হয়নি বরং তারা আরও কাঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ডেপুটেশনে ওয়াশিংটন মিশনে পোস্টিং পাওয়া পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহারের জরুরি আদেশ ইস্যু করতে গত ৩ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। আদেশ পাওয়া মাত্রই দেলোয়ার ঢাকাগামী বিমান ধরবেন এবং এটি অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বেঁধে দেয়া টাইমফ্রেমের মধ্যেই হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।