পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক কিংবা দুইজন নয়, তিনি ৯০ জনের শরীরে এইডসের জীবাণু ছড়িয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৫ জনই শিশু। আর এ অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন পাকিস্তানের এক চিকিৎসক। এইচআইভি দূষিত সিরিঞ্জ ব্যবহার করে চিকিৎসা করানোই এই ৯০ জন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গ্রেফতার হওয়া পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মুজাফফর ঘাংরো নিজেও এইডসে আক্রান্ত। গত সপ্তাহে লারকানার উপকণ্ঠে ১৮ শিশুর শরীরে এইচআইভি পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগ বড় পরিসরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে জানতে পারে, এ পর্যন্ত ৯০ জন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন।
একজন ডাক্তারের কারণেই ৯০ জনের দেহে এইচআইভি ছড়ানোর বিষয় জানার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। ওই ডাক্তার জীবাণুযুক্ত সিরিঞ্জ ব্যবহার করেছেন বলে তাদের ধারণা। লারকানার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল রেহমান এএফপিকে বলেছেন, ‘পরীক্ষায় ৯০ জন এইচআইভি পজিটিভ হয়েছে। তার মধ্যে ৬৫জন শিশু’।
লারকানার পুলিশ প্রধান কামরান নওয়াজ বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদেরকে বলা হয়েছে তারও এইচআইভি রয়েছে। এদিকে এইডস ছড়ানোর অভিযোগকে সিন্ধু স্বাস্থ্য কমিশনের ‘ষড়যন্ত্র’ হিসাবে অভিহিত করেছেন গ্রেফতারকৃত চিকিৎসক মুজাফফর ঘাংরো। নিজের এইচআইভি সম্পর্কে তিনি জানতেন না বলেও দাবি করেন। থানা হাজতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সিন্ধু স্বাস্থ্য কমিশন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যদি জানতাম আমার এইচআইভি/এইডস আছে, তাহলে নিশ্চয় চিকিৎসা নিতাম।
পাকিস্তানের স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, ২০০৬ সালে লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলেও ১৩ বছর ধরে সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন ডা. মুজাফফর ঘাংরো। সিন্ধু প্রদেশের এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কর্মকর্তা সিকান্দার মেমন জানান, পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের এই প্রদেশে এক লাখের বেশি এইচআইভি পজিটিভ লোক আছে। তবে সরকারিভাবে নিবন্ধিত রোগীর সংখ্যা মাত্র ১০ হাজার ৩৫০ জন। নিবন্ধিত ২ হাজার ৪০০ জন রোগী নিয়ে এইডস আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে লারকানা জেলা। সূত্র : আরব নিউজ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।