পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভবন ঝুঁঁকিপূর্ণ ঘোষণার পর আশ্রয়কেন্দ্রে চলছে কুমিল্লার দাউদকান্দির ৩৯ নম্বর দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান। গত দুই বছর ধরে বাধ্য হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন। স্কুলে ১২৭ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত লেখাপড়া করে। ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় ২০১৭ সালে দাউদকান্দি উপজেলার প্রকৌশলী পরিদর্শনে এসে বিদ্যালয়টি ঝুঁঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ঝুঁঁকিপূর্ণ স্কুল ভবনে পাঠদান না করাতে প্রধান শিক্ষককে মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে কোনোভাবে চলছে শিক্ষাদান। স্কুল ভবনটি মাত্র ২৩ বছরে পরিত্যক্ত হওয়ায় নির্মাণ কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন সাধারণ মানুষ ও স্কুল কর্তৃপক্ষের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের নিচের অংশে চারদিকে বিদ্যালেয়ের প্রধান শিক্ষকের নিজস্ব অর্থায়নে বেড়া দেওয়ায় এখন ঝড় বৃষ্টিতেও কোন সমস্যা হয় না। আশ্রয়কেন্দ্রের উপরের দুই রুমে একটিতে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস চলে। অপরটি স্কুলের অফিস রুম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নিচের অংশে বারান্দায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ফৌরদোসী আক্তার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে নতুন ভবন না হওয়া পর্যন্ত স্কুলের পাশে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রেটিতে স্কুল পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর ২০১৭ সাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবনটি থেকে ক্লাস স্থানান্তর করে ম্যানেজিং কমিটির সহায়তায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রেটিতে সে অনুযায়ী পাঠদান চলছে।
বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি সফিকুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এতো সীমাবদ্ধতা এবং সমস্যার মাঝেও বিদ্যালয়টির ফলাফল সবসময়ই ভালো। এবারের পিইসি পরীক্ষার ফলাফলও খুবই সন্তোষজনক। এবার এ স্কুল থেকে মোট ২৬ জন পরীক্ষা দিয়ে সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। বিদ্যালয়টিতে একটি নতুন ভবন খুবই প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের পূর্বের ভবনটি নির্মাণ হতে দেখেছি। তখন স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজের মান নিম্নমানের হওয়ায় মাত্র ২৩ বছরেই স্কুলটি পরিত্যক্ত হয়ে গেল! এই নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম উল্লাহর কথা, ভবনটি নির্মাণ করার সময় রড ও সিমেন্টের ব্যবহারের মাত্রা ছিল খুবই কম। তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র তানিম হোসেন, চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র মো. মোস্তাকিম, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার, চতুর্থ শ্রেণির তানহা আক্তার জানায়, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের বারান্দায় পাখাবিহীন প্রচন্ড গরমের মধ্যে ক্লাসে খুবই কষ্ট হয়।
এ ব্যাপারে দাউদকান্দি উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ হওয়ায় ভবনটির বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পুনঃনির্মাণের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। ভবন নির্মাণের আগ পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা নিয়ে স্কুল পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।