Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বজ্রপাতে নিহত ৮

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৯, ১২:০৯ এএম


 দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল বজ্রপাতে ৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে কিশোরগঞ্জে ৬, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নেত্রকোনায় একজন করে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে এ প্রতিবেদন :
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পাকুন্দিয়ায় তিনজন, মিঠামইনে দুইজন ও ইটনার একজন রয়েছেন।
নিহতরা হলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কুর্শাকান্দা গ্রামের আয়াজ আলীর ছেলে আসাদ মিয়া (৫৫), একই উপজেলার চরফরাদি ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের আবদুল হালিমের মেয়ে নুরুন্নাহার (৩০), একই এলাকার এন্তাজ আলীর ছেলে মুজিবুর (১৭), মিঠামইন উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন (২৩), একই উপজেলার কেওয়াজোড় ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৭) ও ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাটুইর গ্রামের রাখেশ দাসের ছেলে রুবেল দাস (২৬)।
পুলিশ জানায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার দুপুরের দিকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এ সময় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে পাকুন্দিয়া, মিঠামইন ও ইটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়।
পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস, মিঠামইন থানার ওসি জাকির রব্বানি ও ইটনা থানার ওসি মুর্শেদ জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বজ্রপাতে আপেল মিয়া (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টির সময় নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের বগডহর গ্রামে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। নিহত আপেল ওই গ্রামের উরমুজ আলীর ছেলে। তিনি ক্ষেতে ধান কাটতে গিয়েছিলেন। নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মৌসুমী বারী জানান, সন্ধ্যায় বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় বাড়ির পাশের ধানক্ষেত থেকে ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই আপেল মারা যান।
নেত্রকোনা : নেত্রকোনার মদন উপজেলার হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রাঘাতে আবদুল বারেক (৩৫) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের মনিকা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত রুমালীর ছেলে বারেক দুপুরের দিকে বাড়ির সামনের হাওরে ধান কাটার সময় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর বজ্রাঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ