পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তারেক রহমান আমাদের নেতা এ জন্য গর্ববোধ করি। তার বিরুদ্ধে যখন শেখ হাসিনা বলেন, আমি তখন খুব প্রাউড ফিল করি। কারণ তারেক রহমান রাজনীতিতে একটা ফ্যাক্ট। তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মধ্য দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরেকটি ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী নবীন দল।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এখন আমাদের সবচেয়ে খারাপ সময়। কারণ প্রধানমন্ত্রী যদি জনগণের ভোটে জয়লাভ করতো তাহলে তার মুখ থেকে নাবালক সূচক বক্তব্য আসতো না। আর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যখন শেখ হাসিনা বলেন, আমি তখন খুব প্রাউড ফিল (গর্ববোধ) করি। তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী লন্ডন গেছেন চোখের চিকিৎসা করাতে নাকি মনের চিকিৎসা করাতে আমি জানি না। তবে তার এ সফরের মধ্যে দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরেকটি ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা যদি ইউনাইটেড থাকি, আমরা যখন সাহস করে মাঠে নামার জন্য ডাক দেব তখন তারা নেমে যাবেন। দেশবাসী আমাদের সঙ্গে নামার জন্য অপেক্ষা করছেন। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা কর্মসূচি দিলে তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে। কারণ বিএনপি জনগণের দল।
বিএনপির মধ্যে সমন্বয় নেই দাবি করে দলটির এ নেতা বলেন, আমাদের পাঁচজন গেছেন পার্লামেন্টে। নেত্রীর কথা, দেশের কথা বলবেন। উনারা বলেছেন, জনগণের চাপ, আমরা কেউ কেউ বেকুবের মতো বলছি সরকারের চাপ। জনগণের চাপ সত্য নাকি সরকারের চাপ? আমরা এলোমেলো কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছি।
সংসদে যোগদানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের আগে জাহিদুর রহমান শপথ নেওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাকিরা দলীয় সিদ্ধান্তে শপথ নিয়েছেন। আমাদের সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক না বেঠিক এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের সবাইকে এক সুরে কথা বলতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে পার্থক্য আছে। হাসিনা যা বলেন, যে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই সেখানকার চায়ের দোকানেও নেতাকর্মীরা ওই একই কথা বলেন। কিন্তু আমরা একই বিষয়ে একেকজন একেক কথা বলি। অর্থাৎ আমাদের মধ্যে চিন্তা-ভাবনার সমন্বয়ের অভাব। অভাবের থেকে কর্মীদের মধ্যে জনগণের মধ্যে নানা সময় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। এই যে প্রশ্ন উঠেছে, সবাই পার্লামেন্টে গেলো মহাসচিব গেলো না কেন? এটা আমার কাছেও খটকা লাগে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।