পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, আজকে না হোক কালকে জামিনে’ই খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন। উচ্চ আদালতের জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপীল শুনানীতে আসার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এক আলোচনা সভায় তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, আজকে প্রায় ১৬ মাস হতে চললো আমরা এখনো বেগম জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে মুক্ত করতে পারিনি। তার মূল ও প্রধান কারণ হলো রাজনৈতিক। রাজনৈতিক কারণেই তার মুক্তি হয় নাই, তিনি জামিন পান না এবং তাকে কারাবন্দি থাকতে হচ্ছে। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, আমরা ছেড়ে দেবো না। আমরা আশা হারাবো না। জামিন হচ্ছে না কিন্তু জামিন হবে। আজকে না হোক, কালকে হবে এবং বেগম জিয়া অবশ্যই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় যদি তার (খালেদা জিয়া) মুক্তি সম্ভবপর না হয় তাহলে আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নাই তার মুক্তির জন্য এবং আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যেমন করে হোক বিএনপি যাতে দুর্বল না হয় সেদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সেটা বাস্তবায়ন করা এবং সফল করার জন্য চেষ্টা করতে হবে।
খালেদা জিয়ার আপোষহীন মনোভাব তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বেগম জিয়াকে আমি যদ্দুর চিনি তিনি এখনো অত্যন্ত কঠোর মনোভাব নিয়ে আছেন। তিনি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ, মানসিকভাবে অত্যন্ত সবল এবং তিনি কোনো ধরনের আপোষে বিশ্বাস করেন বলে আমি মনে করি না এবং অতীতেও আমরা তাই দেখেছি।
আইনের দুইরকম প্রয়োগ দুই রকম অভিযোগ করে সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ বলেন, আজকে ১০ বছর আইনের প্রয়োগ আছে ঠিকই। তবে আমরা যারা বিরোধী দল করি আমাদের জন্য সেই প্রয়োগ একরকম। আর সরকারপন্থি তাদের জন্য এই প্রয়োগ অন্যভাবে করা হয়। এটা দুর্ভাগ্যজনক। যার জন্য আমরা সবাই বলি আইনের শাসন বাংলাদেশে আমরা যেটা বুঝি বা বুঝতাম সেট্ াএখন নাই বলে মনে হয়। এটা আমরা প্রতিদিন উপলব্ধি করছি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতি ভবনে শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তি, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার আশু আরোগ্য এবং মরহুম ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান খানের স্মরণে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়।
আলোচনা সভার পর খালেদা জিয়া ও সানাউল্লাহ মিয়ার আশু আরোগ্য কামনা ও দুই মরহুম আইনজীবীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, আইনজীবীদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন খান, খোরশেদ মিয়া আলম, শফিউদ্দিন ভুঁইয়া, নাসরিন আখতার, সাইফুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।