পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ম্যাগনেটিক কয়েন, ম্যাগনেটিক পিলার, তক্ষক, শাটিং ফেব্রিক্স কাপড়, জাহাজের স্ক্যাব ও লোহার গর্দা কম দামে বিক্রির কথা বলে প্রতারণা করে ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। রাজধানীর আনাচে-কানাচে ভুয়া অফিস খুলে গত ২০ বছরে এই টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। অবশেষে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চক্রের ১৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতরা হলোÑ নুরুল ইসলাম, মিনার মিয়া, মিজান, তোফাজ্জল করিম ওরফে তানভীর, আক্তার ফারুক, রাজু, গোলাম মোস্তফা শাকিল, শাকিল খান, জাহাঙ্গীরুল আবেদীন, আজগর আলী হাওলাদার, সিরাজুল ইসলাম, শামিম মিয়া, অজয় চাকী, হারুন উর রশিদ ও তুষার আহমেদ। গতকাল দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর। তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে চক্রটির প্রতারণার অফিস রয়েছে। কয়েক স্তরে সক্রিয় প্রতারক চক্রটি।
মো. বাশার নামের এক ব্যবসায়ী তানভীর নামের একজনের মাধ্যমে তিনি বিদেশি শাটিং ফেব্রিক্স কিনতে রাজি হন। নিজে গাজীপুরে একটি গোডাউনে মালামালও দেখে আসেন। এরপর মহাখালীর ডিওএইচএস এলাকার একটি অফিসে গত ৭ ফেব্রæয়ারি প্রথম কিস্তিতে ১০ লাখ টাকার চেক দেন। দুই দিন পর হোটেল ওয়েস্টিনে বসে আরো ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু মালামাল আনতে গিয়ে তিনি জানতে পারেনÑ ওই মালামালের মালিক অন্য কেউ। তানভীরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে প্রাণনাশ ও মামলার হুমকি দেয়া হয়। সাড়ে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পরার পর মো. বাশার অভিযোগ করেন র্যাবের কাছে। এরপর বুধবার রাতে রাজধানীর কাফরুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রটির এই ১৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব-৪। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন নথিপত্র ও ৩২টি মোবাইলফোন জব্দ করা হয়।
প্রতারক চক্রটি তক্ষক বিক্রির নামেও প্রতারণা করে। ১৫ ইঞ্চির বড় ও কমপক্ষে ২৫৩ গ্রাম ওজনের তক্ষকের মূল্য ১০০ থেকে ২০০ কোটি টাকা। কম দামে তারা তক্ষক সরবরাহ করবে এবং বিক্রির জন্য বিদেশি গ্রাহকও সংগ্রহ করে দেয়ার কথা বলে রাজি করে ভিকটিমদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়।
চক্রটির প্রতারণার আরেক ফাঁদ হলো বিশেষ ধরনের কয়েন। পুরনো যুগের বিশেষ ধরনের কয়েন মহামূল্যবান, যাহার মূল্য প্রায় কয়েক শত কোটি টাকা বলে প্রচার করে। কয়েনগুলো বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন, প্রমাণস্বরূপ তারা ভুয়া রিপোর্ট দেখায়। কয়েনের ওপর তারা বিশেষ ধরনের ক্যামিকেল প্রয়োগ করে তার ওপর ২৪-২৫ পিস ধান রেখে বিভিন্ন রঙ ধারণপূর্বক একপর্যায়ে ধুলায় পরিণত করে দেখায়। কয়েনের ক্ষমতা দেখে প্রভাবিত হয় গ্রাহক। আরেক কথিত বিশেষজ্ঞকে ডেকে সাধারণ ও অসাধারণ কয়েন চিহ্নিত করে দেখায় চক্রটি। কয়েন বিদেশি গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতে গিয়ে বুঝতে পারেন তাও ভুয়া। পাওয়ার কয়েনের মতো প্রায় একই প্রক্রিয়ায় টার্গেটদের কাছে ম্যাগনেটিক পিলার কম দামে বিক্রি করে প্রতারণা করে চক্রটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।