পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে এ দাবিতে আন্দোলন করে আসা বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র পরিষদের নেতারা। আগামী ঈদুল ফিতরের পূর্বে দাবি মানা না হলে ঈদের পর অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। গতকাল সোমবার দুপুরে টিএসসির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সুপারিশ ও বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী চাকরিতে আবেদনের বয়স বৃদ্ধি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুকুল হোসেন, ইউসুফ জামিল, নাসরীন সুমী, রফিকুল ইসলাম, শিহাব উদ্দিন প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে হারুন-অর-রশিদ বলেন, আগামী ঈদের পূর্বে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা না হলে ঈদের পর অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। আগামীকাল (আজ) থেকে সারা দেশের জেলা ও উপজেলা কমিটিগুলো সংস্কার ও বর্ধিত করার কাজ শুরু হবে।
বক্তব্যে বলা হয়, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য সত্যের অপলাপ। সেশনজট নিরসনসহ ৫দফা দাবিতে ঢাবির অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। তাছাড়া ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মাস্টার্স পরীক্ষার সেশনজট ছিল গড়ে তিন বছর। একই অবস্থা ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের মাস্টার্স পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও। সেশন জটের উল্লেখিত পরিসংখ্যান প্রতিমন্ত্রী না জেনে থাকলে সেটি তার অজ্ঞতা এবং আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। আর যদি তিনি এ বিষয়ে অবগত থেকেই তা অস্বীকার করেন তবে তা আমাদের জন্য অশনি সংকেত।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারি নবম জাতীয় সংসদের তৎকালীন স্পিকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সংসদের ৭১ বিধিতে জনগুরুত্বপূর্ণ সম্পন্ন নোটিশের ওপর আলোচনার সময় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করার প্রস্তাব করেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদে বহুবার আলোচনা হয়েছে।
দশম ও এগারতম জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ করেছেন। এতকিছুর পরেও চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করার জন্য বগুড়া ৭ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু গত ২৫ এপ্রিল জাতীয় সংসদের বেসরকারি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তার এই প্রস্তাব সমর্থন করে সরকারি ও বিরোধী দলের ১০ জন সংসদ সদস্য অবিলম্বে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা হোক মর্মে সংশোধনী প্রস্তাব দেন কিন্তু প্রস্তাবটি কন্ঠে ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।