পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অ্যাসিডে দগ্ধ, প্রতিবন্ধী, সহায় সম্বলহীন যারা বিচার পেতে অক্ষম তাদেরকে সরকারি সহায়তায় আইনি সেবা দেওয়া হচ্ছে। তারা যেন আদালতে সুষ্ঠু বিচার পায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
রোববার সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৯-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই প্রতিটি মানুষ ন্যায়বিচার পাক। বিচার না পেয়ে আমরা যেমন কেঁদেছি এমন যেন আর কেউ না কাঁদে। গণতন্ত্র না থাকলে যেমন আইনের শাসন সুষ্ঠু হয় না তেমনি আইন না থাকলে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হয় না।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মানুষ যেন সুষ্ঠু আইন সম্পর্কে জানতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু জেলা নয়, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে আইনি সহায়তা ছড়িয়ে দিতে হবে। আমরা এজন্য প্রতিটি জেলায় জাতীয় আইনগত সহায়তা অফিস স্থাপনাসহ সেখানে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মামলাজট থেকে মুক্তি পেতে আপসযোগ্য মামলা নিষ্পত্তিতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ফলে অতিরিক্ত ব্যয় ছাড়া মানুষ এর সহায়তা পাবে। আমরা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি ব্যবস্থার সার্ভিসও চালু করেছি। এজন্য নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে কীভাবে অফিসাররা কাজ করবে। অনেককেই আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অনেক মামলা নিষ্পত্তিও হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম ধর্মে মেয়েদের সম্পত্তি দেওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই তাদের সম্পত্তির ভাগ দিতে চান না। অনেক ভাইয়েরা তাদের বোনকে সম্পত্তির ভাগ দেন না। এটি শুধু নিম্নবিত্ত নয়, উচ্চবিত্তদের ক্ষেত্রেও ঘটে। এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে যারা সাবেক বিচারপতি আছেন আমি তাদের অনুরোধ করবো, যে সম্পত্তির ওপর মেয়েদের অধিকার রয়েছে সেটুকু যেন তাদের কাছ থেকে কেউ কেড়ে নিতে না পারে এর একটি সুরাহা বের করতে। সন্তান ছেলে হোক, মেয়ে হোক তার সম্পত্তির ভাগ যেন সে পায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।