পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একদিন আমরা বিশ্বকাপ জয় করবো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত খেলাধুলার প্রতিযোগিতা নিয়ে এসেছি। এখান থেকে আমরা অনেক ভালো খেলোয়াড় পাবো যাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমরা প্রতিদ্ব›িদ্বতার যোগ্যতা অর্জন করবো। একসময় আমরা বিশ্বকাপ জয় করবো।
গতকাল বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৯’-এর পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ফাইনালে গণবিশ্ববিদ্যালয় টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জেতে, ৬০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে।
এসময় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এই প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিনন্দন জানান তিনি। পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বাকি দলগুলোকেও তিনি ধন্যবাদ জানান। প্রতিযোগিতার আয়োজক ও সংগঠন শিক্ষকদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।
ছোট থেকে বড়দের সবাইকে ক্রীড়াক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট করার পদক্ষেপ নিয়ে সাফল্যের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রাথমিক বিদালয় থেকে প্রতিযোগিতা শুরু করেছি। বঙ্গমাতা প্রাথমিক গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছি। ছেলেদের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনও হয়েছে। গত ১০ বছরে এখান থেকে দক্ষ ফুটবলার গড়ে উঠেছে। অন্য ক্ষেত্রগুলোতেও আমরা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার হলো বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা।
এ সময় বঙ্গবন্ধুকে আদর্শ মেনে কোনো প্রতিযোগিতায় হেরে গেলেই মন খারাপ না করে বা হতাশ না হয়ে পরবর্তী সময়ে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে পরিশ্রম করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, খেলাধুলায় হারজিত থাকবেই। এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। আজ হারলে কাল জিতব এই কথা মনে রাখতে হবে। জাতির পিতা নিজেকে সেভাবেই গড়ে তুলেছিলেন, সবক্ষেত্রেই হার না মানা একটি মনোভাব ছিল তার। যে কারণে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম।
ক্রীড়া ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের যুক্ত থাকার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন, আমার দাদা ফুটবল খেলতেন। বাবাও ফুটবল খেলতেন। আমার দুই ভাই, শেখ কামাল ও শেখ জামাল— তারা দু’জনেই খেলাধুলা পছন্দ করত। কামালের স্ত্রী সুলতানা, সে খেলোয়াড় হিসেবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বন্ধু’ ছিল। জামালের স্ত্রী, সেও খেলাধূলায় ছিল। আমাদের পুরো পরিবারই খেলাধুলায় সম্পৃক্ত ছিলাম। এসময় তিনি আবাহনী ক্রীড়াচক্র গড়ে তোলার প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করেন।
ছোটবেলা থেকে সবার খেলাধুলায় অভ্যস্ত হওয়া উচিত মনে করেন শেখ হাসিনা। তিনি বরেন, ছোটবেলা থেকে আমরা যদি খেলাধুলার চর্চা না করি, তাহলে অভ্যাস গড়ে ওঠে না। সেটা মাথায় রেখে আমরা প্রাথমিক থেকে শুরু করেছিলাম এবং এই পর্যন্ত এসেছি। আশা করি এটা অব্যাহত থাকবে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের ছোবল থেকে দেশকে রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক সমাজের ক্ষত। সকলের কাছে অনুরোধ থাকবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার।
বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭৫ এ জাতির পিতাকে হারানোর পর যে মর্যাদা হারিয়েছিলাম, সেটা ফিরে পেয়েছি। আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। বিশ্বে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। খেলাধুলায় আরও বেশি উৎকর্ষতা অর্জন হোক, সেটাই আমি চাই। এজন্য যা যা করণীয় আমরা সরকারের পক্ষ থেকেই তাই করবো ওয়াদা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।