পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের অনুরোধে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আমরন অনশন সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তৃতীয় দিনের অনশন চলাকালে শুক্রবার রাতে শিক্ষাবিদ প্রফেসর মো. হানিফের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের অনুরোধে অনশন স্থগিত করা হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পানীয় পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান প্রফেসর হানিফ।
তবে সোমবারের মধ্যে ভিসিকে অপসারন করা না হলে আবারও ছাত্র-শিক্ষক সভা করে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচী ঘোষনার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক আবু জাফর মিয়া। সোমবারের মধ্যে দাবি আদায়ের কোন খবর না আসলে অনশনে অংশ নেয়ার ঘোষনা দেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি দলের সদস্য অধ্যাপক মহসিন-উল ইসলাম হাবুল, প্রফেসর মো. হানিফ এবং বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুসও শিক্ষার্থীদের অনশনে যোগ দেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে ভিসি প্রফেসর ড. এসএস ইমামুল হকের অপসারনের একদফা দাবিতে ববি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আমরন অনশনের তৃতীয় দিনে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদকসহ ৪ শিক্ষক এবং ১০ শিক্ষার্থী। তাদের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়। দুপুরে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙ্গাতে যান সিন্ডিকেট কমিটির সদস্য ও বরিশাল শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ভিসির অপসারন সংক্রান্ত ঘোষনা ছাড়া অনশন ভঙ্গ করবেন না বলে জানিয়ে দেন। দুপুরে শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা দেখতে যান শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. মো. বাকীর হোসেন।
ভিসি অপসারণ দাবিতে টানা একমাস আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যলেয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ওই রাতেই তাদের সাথে অনশনে যোগ দেন শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদকসহ ৫ শিক্ষক। শিক্ষার্থীরা জানান, ভিসির অপসারন দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা ক্লাশ-পরিক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত রাখবেন। সোমবারের মধ্যে ভিসিকে অপসারন না করা হলে ফের কঠোর কর্মসূচী দেয়ার হুশিয়ারি জানিয়ে দেন তারা। অনশন স্থগিত হলেও বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর কোন সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। গত ২৮ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন না জানানোয় প্রতিবাদ করলে ভিসি শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে কটুক্তি করেন। এর প্রতিবাদ ও ভিসিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। গত ২৯ মার্চ ভিসি তার বক্তব্যকে ভূলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান। পাশাপাশি দুঃখ প্রকাশ করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এতে সন্তুষ্ট না হয়ে ভিসির পদত্যাগের একদফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আর এসব কারনে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেন ভিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।