Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি ধসের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি পালিত

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সাভারের আলোচিত রানা প্লাজা ধসের ৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তি পালিত হয়েছে। সকাল থেকে রানা-প্লাজার সামনে অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় বিভিন্ন শ্রমিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো। এ ছাড়া আহত নিহতের পরিবারও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায়।
শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন এর সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর এর নেতৃত্বে এসময় তারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন রানা প্লাজার সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা অবিলম্বে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার ফাঁসির দাবি জানান।
পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দরা ২৪শে এপ্রিলকে গার্মেন্টস শ্রমিক দিবস ঘোষণা, শ্রমিক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, নিহত শ্রমিক পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান ৪৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহত-পঙ্গু শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার দাবী জানান।
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট-শিল্পাঞ্চল কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৌমিত্র কুমার দাশ রানা বলেন, রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিক পরিবার তাদের স্বজন হত্যার বিচার আজও পাইনি। এই হত্যাকান্ডের অভিযুক্ত ভবন মালিকসহ গার্মেন্টস মালিকদের কোন বিচারই করা হয়নি। বিচারের নামে কালক্ষেপনের কৌশল নিয়ে সংশ্লিষ্টদের রক্ষার আয়োজন চলছে। ফলে বিচারহীনতার এক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে গার্মেন্টস সেক্টরে।
তিনি বলেন, মাত্র ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে মালিকদের শ্রমিক হত্যার দায় থেকে মুক্তি দিয়েছে সরকার। যার ফলে মালিকরা দিনে দিনে আরও বেপরোয়া হওয়ার সাহস পাচ্ছে। তাই অবিলম্বে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী ৪৮ লাখ টাকা করাসহ দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করে আইন প্রণয়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, রানা প্লাজা ধসের ৬ বছর অতিবাহিত হলেও দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। এ ছাড়া রানা প্লাজার সামনে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করে রানা প্লাজার জায়গা সরকার অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও শ্রমিকের পরিবারকে পুনর্বাসন করার দাবিও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত; ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে শ্রমিকরা কর্মস্থলে যোগ দেয়ার পরপরই সাভার বাস স্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে। এ দূর্ঘটনায় ১১৭৫ জন শ্রমিক নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়। যা বিশ্বের ইতিহাসে ৩য় বৃহত্তম শিল্প দূর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ