Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সমুদ্র অর্থনীতি হবে গতিশীল

১৩২তম চট্টগ্রাম বন্দর দিবস আজ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

সমুদ্র সম্পদের টেকসই ও সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে সমুদ্র অর্থনীতিকে (ব্ল-ইকোনমি) গতিশীল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে চট্টগ্রাম বন্দর। আর এই লক্ষ্যে মাইনিং পোর্ট ও মৎস্য পোতাশ্রয় বা ফিস হারবার নির্মাণেরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩২তম বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ।
তিনি বলেন, সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও এর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে নেওয়া এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সমীক্ষা পরিচালনায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবির সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরিবেশ বান্ধব গ্রিন পোর্ট ধারণা গ্রহণের পাশাপাশি ইকো টুরিজমকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে নৌপথে যাত্রী পরিবহনের কথা জানান তিনি। বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, এই লক্ষ্যে বিদ্যমান জেনারেল কার্গো বার্থের দুটি জেটিতে ২০২৫ সাল নাগাদ ক্রুজ টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে। বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গা টার্মিনাল, কর্ণফুলী কন্টেইনার টার্মিনাল ও লালদিয়া মাল্টিপারপাস টার্মিনালের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ চারটি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বন্দরের সক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার ‘বন্দর দিবস’ পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বন্দরের শহীদ আবদুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর খন্দকার আকতার হোসেন, সচিব মো. ওমর ফারুকসহ বন্দরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বন্দর চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
ইয়ার্ড ও টার্মিনাল সম্প্রসারণ এবং যন্ত্রপাতি ও ইক্যুপমেন্ট কেনার ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান জুলফিকার আজিজ বলেন, বন্দরে এখন জাহাজ ও কন্টেইনার জট নেই। জাহাজের গড় অবস্থান কালও কমেছে। গেল মাসে ৩২টি জাহাজ বন্দরে এসেই জেটিতে ভিড়ার সুযোগ পেয়েছে। চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি। সাত নটিক্যাল মাইল থেকে বাড়িয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সীমানা ৫৪ নটিক্যাল মাইল করায় আয় বাড়ছে বলেও জানান বন্দর চেয়ারম্যান। এখন বন্দরের সীমা সীতাকুন্ড থেকে কুতুবদিয়া পর্যন্ত। এসব এলাকায় যেসব বিদেশি জাহাজ আসছে তাদের কাছ থেকেও পোর্ট ডিউজ আদায় করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় প্রকল্প বে-টার্মিনাল চালু হলে বন্দরের সক্ষমতা তিনগুণ বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ১৫শ’ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল এবং এক হাজার ২২৫ ও ৮শ’ মিটারের দুইটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ইয়ার্ড, ট্রাক টার্মিনাল ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্দর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চারটি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। পাশাপাশি মীরসরাই-সীতাকুন্ড-ফেনী নিয়ে দেশের বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরকে সাপোর্ট দিতে সীতাকুন্ডে আরেকটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ