Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ষণ মহামারী রূপ নিয়েছে

ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে ড. কামাল ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে ৩০ এপ্রিল শাহবাগে গণজমায়েত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

নুসরাত হত্যাসহ সকল নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং হত্যার প্রতিবাদে ৩০ এপ্রিল শাহবাগে গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল চেম্বারে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে এ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আ স ম আবদুর রব বলেন, আজ আমাদের বৈঠকে কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত গুলো হল ৩০ এপ্রিল শাহবাগে গণজমায়েত, নোয়াখালী ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা শহরে গণশুনানী এবং রমজান মাসে ইফতার মাহফিল ও সুধি সমাবেশ। তিনি বলেন, নোয়াখালী ও রাজশাহীর গণশুনানীর তারিখ পরে জানানো হবে।
বিকাল ৪টায় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় ৬ টা পর্যন্ত চলে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ইকবাল সিদ্দিকী, নাগরিকঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিকঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, ডা. জাহিদুর রহমান, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, অধ্যাপক আবু সাইয়ীদ প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশে অনেকগুলো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে একটার পর একটা। নারী ধর্ষণ মহামারী আকার ধারণ করেছে, আইনশৃঙ্খলা অবনতি খুবই দৃশ্যমান। আমরা মনে করি যে, আন্দোলনকে জোরদার করতে হবে। আইনের শাসন, নারীদের অধিকার এসব রক্ষা করার জন্য জনগনকে সক্রিয়ভাবে মাঠে নামতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ঐক্যমতে পৌঁছেছি যে, আমরা সক্রিয়ভাবে মাঠে নামব। কারণ মানুষ চায় সভ্যতা ফিরে আসুক, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হোক। আমরা এ লক্ষ্যে আজকের বৈঠকে কর্মসূচি গ্রহণ নিয়েছি। আমরা মনে করি ঐক্যবদ্ধ একটা উদ্যোগ নিয়ে দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এখন জরুরীভিত্তিতে করা প্রয়োজন বলে কর্মসূচি নিয়েছি।
ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা আস ম আবদুর রব বলেন, আজকে হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আমরা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নিঃশর্তভাবে তার মুক্তি চাই।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া ছাড়াও বিএনপিসহ ফ্রন্টের হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে আছেন তাদের মুক্তি দিতে হবে, নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে সকল মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও গায়েবী মামলা দায়ের বন্ধ করতে হবে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের জামিনে মুক্তি দিতে হবে।
জায়ান চৌধুরীর প্রতি শোক
শ্রীলংকায় বোমা হামলার ঘটনায় ন্ন্দিা জানিয়ে আ স ম রব বলেন, এই বোমা হামলায় আমাদের একজন শিশু জায়ান চৌধুরী মারা গেছে। আমরা তার বিদাহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় জায়ানের বাবা আহত অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। আমরা তার সুস্থতা কামনা করছি।
সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসম আবদুর রব বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কেউ এই ভোট ডাকাতির অবৈধ সংসদে শপথ নেবে না। আমাদের এই সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত আছে।
দুই জন নিয়ে শপথ নিয়েছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যারা শপথ নিয়ে তাদেরকে দলের পক্ষে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ