পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত সত্তরের দশকে শক্তিমান অভিনয়শিল্পী ছিলেন রোজী আফসারী। তার ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ডুডল প্রদর্শন করছে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল।
গতকাল মঙ্গলবার গুগলের হোমপেজে রোজী আফসারীকে নিয়ে গুগলের ডুডল চোখে পড়ে। ডুডলে গুগল লোগোটিকে রঙিন পর্দায় তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে গুগলের ইংরেজি বানানের একটি ‘ও’ অক্ষরের জায়গায় বসানো হয়েছে রোজী আফসারীকে। এ ডুডলে রোজী আফসারীর ক্যারিয়ারকে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে প্রথম নারী পরিচালক হয়ে নারীদের এ পথে আসার বাধা ভেঙে ফেলেন। ১৯৮৬ সালে ‘আশা নিরাশা’ চলচ্চিত্র দিয়ে পরিচালক হিসেবে তার অভিষেক হয়। ২০০৫ সালে তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র মুক্তি পায়।
রোজীর প্রকৃত নাম শামীমা আক্তার রোজী। ১৯৪৬ সালের ২৩ এপ্রিল লক্ষীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অভিনয় জীবন শুরু করেন ১৯৬৪ সালে রোজী সামাদ নামে। পরবর্তী সময়ে স্বামী মালেক আফসারীর নামের শেষাংশ ব্যবহার করেন নিজের নামের শেষে। সেই থেকে রোজী আফসারী হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৬৪ সালে ‘এই তো জীবন’ চলচ্চিত্র দিয়ে তার কর্ম জীবন শুরু। ১৯৬৪ সালেই তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র জহির রায়হানের ‘সঙ্গম’ ছবিতে দেখা যায় রোজীকে।
১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। বাংলার পাশাপাশি উর্দু ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছবি ‘আলোর মিছিল’-এ অভিনয় করেছেন ১৯৭৪ সালে। ১৯৭৫ সালে ‘লাঠিয়াল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন রোজী আফসারী।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রোজী ফিল্মসের ব্যানারে অনেক ছবি তৈরি করেন বাংলাদেশের গুণী এ পরিচালক। ২০০৭ সালের ৯ মার্চ তিনি মারা যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।