পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আকিজ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিকের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন এক পুত্রবধূ। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন শেখ আকিজ উদ্দিনের মেজো ছেলে শেখ মমিন উদ্দিন, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা ও তাদের ছেলে ফাহিম। ফাহিমের সঙ্গে দাম্পত্যকলহ ও মারধর থেকে ঘটনার সূত্রপাত বলে জানান, তার স্ত্রী আহমেদ নাজিয়া। তার অভিযোগ, শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী তাকে মারধর করেছেন, শাশুড়ি গৃহসহকর্মীদের সহায়তায় তাকে নির্যাতন করেছেন ও তার নামে টাকা চুরির মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। এই মামলায় আড়াই বছরের সন্তানসহ কারাবাসও করতে হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে মারধর ও টাকা চুরির অভিযোগে মামলার কথা অস্বীকার করেছেন নাজিয়ার শাশুড়ি আঞ্জুমান আরা। মামলায় যাকে সাক্ষী করা হয়েছে সেই গৃহকর্মী জুলেখাও মামলায় আনা অভিযোগের বিষয়গুলো মিথ্যা বলে জানিয়েছেন।
ধানমন্ডি থানার ওসি আব্দুর লতিফ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এ ঘটনায় দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
নাজিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ফাহিম প্রায়ই আমাকে মারধর করে। আর সেটা সহ্য করতে না পেরে গতবছরের ১১ অক্টোবর আমি ঘুমের ট্যাবলেট খাই। এরপর সেইদিন রাতে আমার শাশুড়ি আঞ্জুমান আরা আমার নিকেতনের বাসায় এসে রাত ৯টার দিকে আমাকে তার ধানমন্ডির বাসায় নিয়ে যান। কিন্তু তারা আমাকে কোনো চিকিৎসা করাননি। আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। এরপর ১৩ তারিখ বিকেল থেকে ডিভোর্স দেয়ার জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকেন শাশুড়ি। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমার শাশুড়ির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর শ্বশুরের সঙ্গেও আমার কথা কাটাকাটি হয়। তখন তিনি আমার বাবা-মাকে নিয়ে গালিগালাজ করেন। এরপর আমার শাশুড়ি ও বাসার তিন কাজের লোক হায়দার, রেজা ও জুলেখা আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। আর সেইদিন রাতেই ড্রাইভারকে দিয়ে আমাকে নিকেতনের বাসায় পাঠানো হয়। তখন আমি সেই রাতেই ইউনাইটেড হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। এরপর ১৪ তারিখ আমি ধানমন্ডি থানায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর ৭২৪) করি। আর এর তদন্তের দায়িত্ব পড়ে ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক তৌকিরের উপর। কিন্তু তিনি কোনো তদন্ত করেননি।
নাজিয়া সাধারন ডায়েরি করার দুইদিন পর ১৭ অক্টোবর ওই থানায় তার শাশুড়িও একটি মামলা করেন। সেটিতে আসামি করা হয় নাজিয়া ও তার মাকে।
আঞ্জুমান আরার করা ওই মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি আমার ছেলে ফাহিমের সঙ্গে নাজিয়ার বিয়ে হয়। এরপর তারা বিভিন্ন ভাড়া বাসায় থাকতো। গত ১৩ অক্টোবর (২০১৮) রাত সাড়ে ৮টায় আমার ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে নাজিয়া অশ্লীল গালিগালাজ করে, কাজের মহিলা জুলেখাকে মারধর করে। ঐ সময় বাসায় থাকা অন্য কাজের লোকদের সঙ্গে নিয়ে আমি জুলেখাকে বাঁচাতে যাই। তখন আমাকে হত্যা করার জন্য সে (নাজিয়া) রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে হত্যার হুমকি দেখায়। এছাড়া, বাসায় সবাইকে অবরুদ্ধ করে বাসার মালামাল ভাংচুর এবং আমার ব্যাগ থেকে ১৫ হাজার টাকা চুরি করে। আহমেদ নাজিয়া হত্যার ভয় দেখিয়ে ও শিশু সন্তানকে হত্যা করে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। নাজিয়া তার শ্বশুরবাড়ির পারিবারিক সুনাম ক্ষুন্ন করার পাশাপাশি বাসার ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্রের ক্ষতি করেছেন, গাড়ি ভাংচুর করে এক লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন এবং ১৫ হাজার টাকা চুরি করেছেন বলেও মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে।
মামলার বাদি আঞ্জুমান আরার সাংবাদিকদের বলেন, ছেলে নিজে পছন্দ করে বিয়ে করছে। আমরা কখনো বাধা দেইনি। ওরা যেন সুখে থাকে সেজন্য সাধ্যমতো সাপোর্ট দিয়েছি। আকিজ পরিবার নাজিয়াকে ছেলের বউ হিসেবে মেনে না নিলেও আমি মেনে নিয়েছি। চেয়েছি ওরা সুখে থাকুক।’
নাজিয়া আরো জানান, শাশুড়ির করা মামলা তদন্তেরও দায়িত্ব পেয়েছেন ধানমন্ডি থানার এসআই তৌকির। অথচ তিনি নাজিয়ার করা সাধারন ডায়েরির বিষয়ে কোনো তদন্তই করেননি। আক্ষেপ করে নাজিয়া বলেন, আমার তো কেউ নেই, টাকাও নেই। তাই বলে কি আমি বিচার পাব না?
শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রতিনিয়ত তার জামিন বাতিল করানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে জানিয়ে নাজিয়া বলেন, এসব হুমকির কারণে গত ১ এপ্রিল রাজধানীর গুলশান থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেছেন তিনি। এরপর থেকে তার স্বামী ও শ্বশুর প্রতিনিয়ত ফোনে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ নাজিয়ার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।