বাগেরহাটের রামপালে দশ বছর বয়সী এক মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ফেঁসে গেলেন মাদরাসার প্রিন্সিপাল ওলিয়ার রহমান। গতকাল শনিবার ভোর রাতে উপজেলার ফয়লাহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে করে গ্রেফতার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ঘটনাটি সঠিক সময়ে পুলিশকে না জানিয়ে মীমাংসার চেষ্টার অভিযোগে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। গত শুক্রবার দুপুরে একই ঘটনায় ধর্ষণে অপরাধে অভিযুক্ত ফেরদৌস শেখ (১৮) নামে এক মুদি ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতার ফেরদৌস শেখ রামপাল উপজেলার শরাফপুর গ্রামের লুৎফর শেখের।
জানা গেছে, ফকিরহাটে নানা বাড়িতে থেকে রামপাল উপজেলার একটি মাদরাসার ছাত্রী নিবাসে থেকে পড়ালেখা করছিল নির্যাতিতা শিশুটি। মাদরাসার সামনের মুদি দোকানি ফেরদৌসের সাথে মেয়েটির পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে ১১ এপ্রিল রাতে মুদি দোকানি ফেরদৌস সুকৌশলে মেয়েটিকে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের সাথে আলোচনা করে মীমাংসা করার চেষ্টা করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ ওলিয়ার রহমান। তবে বিষয়টি সঠিক সময়ে পুলিশকে অবহিত না করে মীমাংসার চেষ্টা করার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এর আগে মাদরাসায় শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় তার মামা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অন্য আসামিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।