পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রায় দেড়যুগ ধরে আশা-নিরাশার দোলাচলে ঘুরপাক খাচ্ছে বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প। যদিও এডিবির অর্থায়নে ইতোমধ্যে ‘টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্স ফর সাব-রিজিওনাল রোড ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট প্রিপারেটরি ফেসিলিটিজ’-এর আওতায় সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে।
কিন্তু ব্যয়বহুল এ প্রকল্পের দাতা না পাওয়াসহ অর্থের সংস্থান না থাকায় বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এখনো অনিশ্চয়তার আবর্তে। যদিও দক্ষিণাঞ্চলের কতিপয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ চার লেন প্রকল্প নিয়ে দুবছর আগে থেকেই নানা ধরনের কৃতিত্ব প্রচার করছেন। এমনকি বিগত জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারি দলের প্রচারণায়ও এ প্রকল্প ছিল প্রথম সারিতে।
এদিকে দেশীয় তহবিল থেকে জমি অধিগ্রহণে প্রায় দ্্্ইু হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। ফলে ফরিদপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের বিদ্যমান জমির দু’পাশে অতিরিক্ত প্রায় ৩০২ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করবে সড়ক অধিদপ্তর। আগামী অর্থ বছরের মধ্যে এ অধিগ্রহণ হলেও বাস্তব অবকাঠামো নির্মাণ এখনো চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছে বলে জানা যায়।
২০০২ সালের ফরিদপুর থেকে বরিশাল পর্যন্ত ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের ৮ নম্বর জাতীয় মহাসড়কটি ৪ লেনে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ২০১২ সালে দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দর স্থাপনের কাজ শুরু হলে বরিশাল থেকে পটুয়াখালী হয়ে পায়রা ও কুয়াকাটা পর্যন্ত চার লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়।
তবে পায়রা বন্দর থেকে পটুয়াখালী-কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়ক পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কটি ৪ লেনে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। সরকারি অর্থয়নে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সম্পূর্ণ আরসিসি প্রযুক্তিতে বন্দরমুখী এ সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করছে।
কিন্তু ফরিদপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী হয়ে কলাপাড়া পর্যন্ত মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত না করলে সমস্যার কোন সমাধান মিলবে না বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারীসহ সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সড়ক যোগাযোগ নির্বিঘ্ন করতেও কলাপাড়া থেকে ২২ কিলোমিটার মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের কোন বিকল্প নেই বলেও মনে করছেন পর্যটকসহ এ খাতে জড়িতরা।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সড়ক অধিদপ্তরের একাধিক সূত্রের মতে প্রকল্পের কাজ শিগগির জোরালো হচ্ছে না। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ আরো কয়েকটি মহাসড়কের সাথে এ মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু অন্য কয়েকটি প্রকল্প ইতোমধ্যে কিছুটা ইতিবাচক পর্যায়ে গেলেও এই প্রকল্পটি এখনো অন্ধকারে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের মতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা লাভসহ নানা কারণ বিবেচনা করে তা দুই পর্যয়ে বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে ফরিদপুর থেকে বরিশাল পর্যন্ত ১২৪ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কটির কাজ করা হবে। কিন্তু ঠিক কবে নাগাদ এ মহাসড়কটির কাজ শুরু হবে তা বলতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটির জন্য এখনো কোন পূর্ণাঙ্গ ‘উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা-ডিপিপি তৈরি হয়নি। ফলে পুরো প্রকল্পটি এখনো পরিকল্পনা কমিশনসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের বিবেচনার পর্যায়েও পৌঁছেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।