Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চালু হচ্ছে ঢাকা-বেনাপোল রুটে এক্সপ্রেস রেল সার্ভিস

বাড়বে বাণিজ্যিক গতিশীলতা

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ঈদের পরই চালু হতে যাচ্ছে ঢাকা-বেনাপোল রুটে এক্সপ্রেস রেল সার্ভিস। যাত্রী সেবার মান আরও বাড়াতে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের বন্দর সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, আমাদের অনেক পরিশ্রমের পর এ রুটে রেলপথ চালুর স্বপ্ন সার্থক হতে যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি পণ্য পরিবহনে কার্গো সার্ভিসও চালু হবে। এ সেবা চালু করলে পণ্যজট কমবে। প্রতিবেশী ভারতের সাথে রেলপথ ও স্থলপথে বাণিজ্য এবং পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত রয়েছে। এখন ঢাকা-বেনাপোল রুটে যাত্রী সেবায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতিতে যাত্রী দুর্ভোগ লাঘব হবে। বাড়বে বাণিজ্যিক গতিশীলতা।
সড়ক পথে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী অনিতা দাস বলেন, দেশ ভাগ হলেও ভারতের সাথে এখনও অনেকের আত্মীয়ের বন্ধন রয়ে গেছে। এ কারণে স্বজনদের সাথে দেখা করতে ও ভালো চিকিৎসা পেতে প্রায়ই অনেকের ভারতে যেতে হয়। ভারত থেকেও অনেক আত্মীয় আসে বাংলাদেশে। হরতাল, অবরোধ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাত্রীরা সড়ক পথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতায়াত অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন। দুর্ভোগ আর পাসপোর্ট দালালদের হয়রানির শিকার হতে হয়। এ পথে যাত্রীবাহী রেল চালু হচ্ছে, এতে তারা অনেক উপকৃত হবেন।
সংশিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রথম পর্বে আসছে ঢাকা-বেনাপোল রুটে আন্তঃনগর ট্রেন, বেনাপোলে জংশন। এরপর বুলেট ট্রেন। ভারতের সাথে রেল কার্গো সার্ভিস। এ সেবা চালু করতে এর আগে গত ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের যৌথ ইশতেহার এবং উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য কাঠামোগত চুক্তির আওতায় (রেলপথ বিষয়ে) উপ আঞ্চলিক সহযোগিতা সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। সভায় বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীসহ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, রেলের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বেনাপোল রুটে ভারতের সাথে এর আগেও যাত্রী সেবায় রেল সার্ভিস চালু ছিল। তবে দেশ স্বাধীনের পরপরই তা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে বছর দশ আগে দুই দেশের সরকারের প্রচেষ্টায় আবারও চালু হয়, প্রথমে পণ্য পরিবহণে কার্গো সার্ভিস পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর খুলনা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে বন্ধন রেলের যাত্রীসেবা চালু হয়।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, ঢাকা-বেনাপোল-ঢাকা রেল রুটে যাত্রী সেবার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ সিট অনলাইনে যাত্রীরা সংগ্রহ করতে পারবেন। চলতি পথে যশোরে থাকছে যাত্রা বিরতি। সামনে ঈদের পর এ সেবা চালু হচ্ছে। রেল চালু হলে রেলের রাজস্ব যেমনটি বাড়বে তেমনি মানুষ নিরাপাদে কম সময়ে যাতায়াত করতে পারবে। বাড়বে দু দেশের মধ্যে বাণিজ্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ