পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানুষরূপী ধর্ষক আগেও ছিল। এখনও আছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে উদ্বেগজনকভাবেই। নুসরাতের জীবন গেছে। এই রকম অনেক নুসরাত দেশের বিভন্ন জেলায় ধর্ষণের বলি হয়েছেন। বিচার হচ্ছে না, তা নয়। আবার কোন কোন সময় নানা প্রভাবে বিচার আঞ্চলিকবভাবেই থেমে যাচ্ছে। দরিদ্র পরিবারগুলো বেশীদূর যেতে পারেন না। ধর্ষকদের দলে থাকে সহযোগিরা। তারা দেন-দরবার করে ঘটনা ধামা-চাপা দিতে দিচ্ছে। যে তথ্যগুলো থানা-আইন আদালতে আসে সেটাই আমার জানতে পারছি।
প্রশ্ন হলো , হঠাৎ করে দেশে ধর্ষণের মাত্রা বেড়ে গেল কি করে? এই প্রশ্নের জবাবে প্রবীণ ব্যক্তি মোকছেদ আলী জানালেন, ভাই যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনই এর মূল কারণ। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে গেছে এই ওষুধ। পাবনা জেলাতে হাত বাড়ালেই গড়ে ২ শত টাকায় যৌন উত্তেজক ২ টি ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এই ওষুধ তৈরি বন্ধ করতে হবে। বেহায়পন্নাও পাবনায় কম বাড়েনি। মাত্র ৫ বছরের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে যৌন কারবার চলছে। পুলিশ তৎপরতা না থাকায় ব্যবসা জমজমাট। স্কুল কলেজ পড়–য়া কন্যা সন্তানদের নিয়ে এমন কি? চার/পাঁচ বছরের শিশু কন্যা নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বেগ-উৎকন্ঠা আর শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন।
যৌন পীড়নের ঘটনা মাত্রা পাবনায় বেড়েছে। জেলার চাটমোহর, সাঁথিয়া, আমিনপুর, পাবনা সদর এলাকাতেও। চলতি মাসে ৩ সপ্তাহের ব্যবধানে ৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শিশু, প্রতিবন্ধী, স্কুল পড়–য়া ছাত্রী রয়েছেন। আমিনপুরের ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে, গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত অপর এজহারভূক্ত অভিযুক্তসহ অন্য ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও অধরা।
অভিজ্ঞজনেরা বলছেন, শুধু মামলা নিলেই হবে না, পুলিশী তৎপরতা আরও বাগড়াতে হবে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা থেমে নেই, সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে দোষীদের গ্রেফতারের। পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট থানার অফিসারদের জানিয়ে দিয়েছেন, ধর্ষণসহ কোনো অপরাধে গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না। কেউ তদবির করলে তাকে জানাতে বলেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।