পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে একেবারে তৃণমূল থেকেই নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ একসঙ্গে বসেছি। সেইসঙ্গে আমরা আরও একটি কাজ করতে চাই, ইতোমধ্যে আমাদের প্রেসিডিয়াম মিটিং করেছি, ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং করেছি। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, প্রেসিডিয়াম কার্যকরী সদস্যের নিয়ে আটটি বিভাগে কমিটি গঠন করেছি।
তিনি বলেন, এসব কমিটির দায়িত্ব থাকবে আমাদের সংগঠনগুলি একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে নতুন করে ঢেলে সাজানো; কোথায় কমিটি আছে না আছে সেগুলো দেখা; সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগকে আরও মজবুত করে গড়ে তোলা। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে অনেক সময় সরকার ধীরে ধীরে মানুষের কাছ থেকে হারিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে জনগণের আশ্বাস বিশ্বাস আমরা অর্জন করেছি এবং জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এবারের নির্বাচন যেটা হয় গেল আমরা যদি সে নির্বাচনে তাকাই, দেখা যাবে সকল পেশার মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে।
আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে তখনই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা যা আমাদের সংবিধানে রয়েছে। দেশের মানুষ তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। গ্রামগুলো দারিদ্রমুক্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশে দারিদ্র মুক্ত হোক। আগামীতে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করব। এই উদযাপনকে লক্ষ্য নিয়ে আমরা দীর্ঘ কর্মসূচি নিয়েছি। পার্টির পক্ষ থেকে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি, একটা কমিটিও করেছি। সেই কমিটির কার্য কলাপ ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি মোটা অংক কামাই করে নিয়েছে। নির্বাচনের দিকে তাদের খুব একটা নজর ছিল না। তাই তারা সিট বিক্রি শুরু করে, অর্থ সংগ্রহ করাকে গুরুত্ব দিয়েছে। যার জন্য তাদের এই ভরাডুবি।
বক্তব্যের শুরুতেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ঐতিহাসিক ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন বলেন, সেই স্বাধীন রাষ্ট্র, একটা যুদ্ধবিধস্ত দেশকে গড়ে তুলে দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে যখন জাতির পিতা যাত্রা শুরু করেন। ঠিক সেই ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটে এবং জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এরপর ২৯ টি বছর, প্রথমে ২১ বছর। এরপর আবার ৭বছর। এই জাতির জীবনে অমানিশার অন্ধকার নেমে আসে। কাঙ্খিত কোন অগ্রগতি দেশের মানুষের জীবনে হয়নি। কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করেছে, তখনই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।
দলটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের সঞ্চলনায় সভায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রায় সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রায় সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শো-ডাউন করেছে যুবলীগ।
বিকাল চারটা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী দলীয় কার্যালয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে প্রেসক্লাবের সামনে কদমফোয়ারা থেকে গুলিস্তানের নূর হোসেন চত্বর পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশে ব্যাপক শোডাউন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ।
যুবলীগের লাল-সবুজের পতাকা, সবুজ ক্যাপ ও গেঞ্জি পরিহিত হাজার হাজার নেতাকর্মী রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে ‘রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম, নেত্রী তোমার দুই নয়ন, বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শেখ হাসিনা-যুবলীগ,-যুবলীগ-শেখ হাসিনা’ স্লোগান দিতে থাকে।
এছাড়াও পতাকা নেড়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান নেতাকর্মীরা। নূর হোসেন চত্বরে দাঁড়িয়ে এই শোডাউনের নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ ছাড়াও ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। চোখে পড়ার মতো শোডাউন ছিল যুবলীগ দক্ষিণের।
১০ টাকায় টিকেট কেটে চিকিৎসা নিলেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে সাধারণ রোগীদের মত ১০ টাকার টিকিট কেটে আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকা ফি দিয়ে গতকাল সকালে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তিনি বলেন, এর আগেও এখানে এভাবে তিনি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং চিকিৎসক ও নার্সদের ধন্যবাদ জানান।
এর আগেও একই হাসপাতালে এভাবে তিনি চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া২০১৭ সালের ৯ ডিসেম্বর সাধারণ রোগীর মতোই লাইনে দাঁড়িয়ে ৫ টাকার টিকিট কিনে গাজীপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে ‘নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ করিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সময় তার সঙ্গে বোন শেখ রেহানাও ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।