পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাগুরায় লিচুর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন চাষিরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চাষিরা এবার ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। এক দশক ধরে লিচু আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় মাগুরা জেলার কয়েকটি এলাকা লিচু পল্লী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।
সদর উপজেলার হাজরাপুর, মিঠাপুর, ইছাখাদা, খালিমপুর ও হাজিপুরসহ ৩০ গ্রামে লিচুর বাম্পার ফলন হওয়ায় অন্যান্য এলাকায় এর প্রভাব পড়ে। দিন দিন মাগুরায় লিচু আবাদ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে মাগুরা জেলায় লিচু চাষের বিপ্লব ঘটে যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
এবার পরিবেশ পক্ষে থাকায় লিচুর ব্যাপক মুকুল দেখা দেয় এবং প্রচুর ফল ধরেছে। বৃষ্টি না থাকায় কিছু গাছের লিচু ঝরে যাচ্ছে। বর্তমানে বৃষ্টি হওয়ায় ভাল ফলন আশা করছেন চাষি। আর কোন দুর্যোগের মধ্যে না পড়লে লিচুর বাম্পার ফলন হবে বলে চাষিরা জানান। প্রতি বছরই এখানকার চাষিরা লিচু বিক্রি করে লাভবান হয়ে থাকেন।
মাগুরা শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের ইছাখাদা পৌঁছলেই চোখে পড়ে রাস্তার দুই পাশে সারি সারি লিচু বাগান। আর গাছে থরে থরে ঝুলে থাকা লিচুর মনোরম দৃশ্য। মাগুরা জেলায় আড়াই হাজার লিচু বাগান রয়েছে। এর মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলার লিচু পল্লীতে রয়েছে দুই হাজার বাগান।
জেলার চার উপজেলায় এবার ৫৭০ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হয়েছে। লিচু চাষে অনেক চাষির ভাগ্য বদলে অন্যরা উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে এসেছেন। এতে করে এলাকায় লিচু চাষে রীতিমত বিপ্লব ঘটেছে। ১৯৯৩ সাল থেকে লিচু আবাদ শুরু হয়। লিচু নিয়ে এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় লিচুমেলা।
মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর, রাঘবদাইড়, হাজিপুর ইউনিয়নের মিঠাপুর, ইছাখাদা, খালিমপুর, রাউতাড়া, মির্জাপুর, বামনপুর, আলমখালী, বীরপুর, বেরইল, লক্ষীপুর, আলাইপুর, শীবরামপুর ও নড়িহাটিসহ ৩০ গ্রামের চাষিরা গত দুই যুগ ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচু আবাদ করে আসছেন। মাগুরার চাষিরা জানান, তারা বেদানা মোজাফ্ফর, চায়না থ্রি ও বোম্বাই জাতের লিচু চাষ করেন।
এই তিন জাতের লিচু ক্রেতাদের কাছে খুবই প্রিয়। আর এ কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেপারীরা এখানকার লিচু গাছে রেখেই কিনে পরিচর্যা করেন। সময় হলে গাছ থেকে লিচু পেড়ে বিক্রি করেন। এলাকার লিচু চাষের মূল উদ্যোক্তা ওলিযার রহমান গত দু বছর আগে মারা গেছেন। এর ফলে আগের মত লিচু মেলা হবে কিনা তা নিয়ে কৃষকদের সংশয় রয়েছে।
জনৈক লিচু চাষি জানান, তার বাগানে ৫০টি লিচু গাছের প্রতি গাছে চার হাজার করে লিচু উৎপাদন হয়। আর এসব লিচু পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। চাষিরা জানান, বিগত বছরগুলোর মত এবারও ব্যাপকভাবে লিচুর ফুল ও ফল ধরেছে।
আবহাওয়া ভাল থাকায় কৃষি বিভাগের তেমন সহযোগিতা না পেলেও উৎপাদন ভাল হয়। ইছাখাদা গ্রামের লিচু চাষি রবিউল ইসলাম জানান, তার তিনটি বাগান থেকে এবার কমপক্ষে এক লাখ টাকার লিচু বিক্রি করা যাবে। হাজরাপুর গ্রামের লিচু চাষি আবু জাফর বলেন, এবার তার বাগান থেকে প্রায় সোয়া লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবেন যদি আল্লাহ সহায় হন। একই কথা জানালেন অন্যান্য চাষিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।